কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময় ‘কাবা’র ভৌগোলিক অবস্থান!

পবিত্র কাবা শরীফ। ছবি : সংগৃহীত
পবিত্র কাবা শরীফ। ছবি : সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরীফ। এটি শুধু ইবাদতেরই স্থান নয়। এর ভৌগোলিক ও বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব রয়েছে। আধুনিক গবেষণায় উঠে এসেছে কাবা শরীফের রহস্যময় বৈজ্ঞানিক দিক।

একসময় পৃথিবীতে শুধুই পানি ছিল। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রথম জমিন সৃষ্টি হয় কাবা ঘরের নিচের অংশ থেকে। জমিনে পরিণত হওয়ার আগে এটি ছিল সাদা ফেনার মতো, যা একসময় কঠিন মাটিতে রূপ নেয় এবং চারপাশ ধীরে ধীরে ভরাট হতে থাকে। সেখান থেকেই সৃষ্টি হয় একটি বিশাল মহাদেশ, যা পরে বিভক্ত হয়ে বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে পরিণত হয়।

এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের সুরা আলে ইমরানের ৯৬নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটি মক্কায় অবস্থিত, যা বরকতময় ও বিশ্বজগতের জন্য হেদায়েতের কেন্দ্র।’

গবেষকদের মতে, কাবা শরীফ শুধু ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি এক বৈজ্ঞানিক বিস্ময়। গোল্ডেন রেশিও, চুম্বকীয় শক্তি ও মহাকর্ষীয় প্রভাব-সবকিছুই প্রমাণ করে, এটি নিছক কাকতালীয় কিছু নয়, বরং মহান আল্লাহর এক নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ।

গবেষণায় দেখা গেছে, ভৌগোলিকভাবেই কাবা শরীফ পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। সৌদি আরবের উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. খালিদের গবেষণায়ও উঠে এসেছে, কাবা শরীফের অবস্থান গোল্ডেন রেশিও বা সোনালি অনুপাতের পয়েন্টে, যা গণিতের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার ১.৬১৮। আরেক গবেষক ড. হোসাইন কামাল উদ্দিন আহমদ কাবা শরীফকে পৃথিবীর মেরুদণ্ড ও মধ্যস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

গোল্ডেন রেশিও প্রকৃতির এক রহস্যময় সংখ্যা, যা ফুলের পাপড়ির বিন্যাস, গ্যালাক্সির বিন্যাস এমনকি মানবদেহেও পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর দূরত্বের অনুপাত এবং কাবা শরীফের অবস্থান ১.৬১৮, যা এক বিস্ময়কর সত্য।

বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, কাবা শরীফ এমন এক স্থানে অবস্থিত, যেখানে পৃথিবীর ভূ-চুম্বকীয় ক্ষেত্র সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ। এটি পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী জিওম্যাগনেটিক এনার্জি ফিল্ড। এমনকি এখানে শূন্য মহাকর্ষীয় টান অনুভূত হয়, যা মানবদেহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ইসলামে হজের সময় কাবা শরীফের চারপাশে সাতবার তাওয়াফ করা হয়, যা বাঁ দিক থেকে ঘোরার নিয়মে সম্পন্ন হয়। গবেষকরা বলছেন, মহাবিশ্বের সকল গ্রহ, নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি বাঁ দিকে আবর্তিত হয়। এতে প্রমাণিত হয় যে, কাবার চারপাশে তাওয়াফ করাও মহাবিশ্বের নিয়মেরই একটি অংশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার

ক্ষমা চেয়ে আবেদন উমামা ফাতেমার

যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি লো ব্লাড প্রেশারে ভুগছেন

গণহত্যা মামলায় আফ্রিদি গ্রেপ্তার, ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া প্রত্যয় হিরণের

চুরির মামলার হাজিরার টাকা জোগাতে ফের চুরি, অতঃপর...

বাবা-মায়ের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন গোবিন্দ-কন্যা

সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে দেশ সেরা ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড যমুনার পণ্য 

জেন-জির নতুন ট্রেন্ড ‘থিম পার্টি’, কী হয় সেখানে

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ / আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা

মামলা নিয়ে বিচলিত নন পলক, আইনজীবীকে ট্রায়ালের প্রস্তুতির নির্দেশ

১০

ঘুষকাণ্ডে এবার জামায়াতের সেই পিপির নিয়োগ বাতিল

১১

ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল

১২

শোকজের জবাব দেবেন ফজলুর রহমান

১৩

হত্যাচেষ্টার নতুন মামলায় পলক, রাষ্ট্রদ্রোহে জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

১৪

অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা সরকারের

১৫

প্রিয় মানুষের অভিমান ভেঙে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে

১৬

ইসলামী সংগীত গাইলেন ইউটিউবার সাইদুল হাসান

১৭

টঙ্গীতে ব্রিজ নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ 

১৮

ভারতে আসছে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের নাম আলোচনায়

১৯

তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি

২০
X