লাখ লাখ মুসল্লিতে মুখর পবিত্র মক্কা-মদিনা। হজ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরিতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা রোববার (০৪ জুন) থেকে শুরু হলেও অনেক হজযাত্রীকে শনিবার (০৩ জুন) রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় যাওয়া শুরু করেছেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা করবেন হাজিরা। মিনায় গিয়ে ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে।
সেদিন হাজিদের উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ।
এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাসহ ২০ ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে। এবার হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব। তারা চারজনই বাংলাদেশি। তারা সবাই মক্কার উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন।
এ বছর আরাফাতের খুতবা উপস্থাপন করবেন বাংলা অনুবাদক দলের সদস্য ড. মুহাম্মদ খলীলুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হজের খুতবা অনুবাদ কার্যক্রম একটি সম্মানের কাজ। এর মাধ্যমে বাংলাভাষী মুসলিমদের কাছে ইসলামের সুমহান বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে আমরা চারজন বাংলাদেশি দায়িত্বটি পালন করছি। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করি, যেন আমরা সবাই গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারি।’
সৌদি বার্তা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ১৪৩৯ হিজরি মোতাবেক ২০১৮ সালে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের বিশেষ নির্দেশনায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে শুধু পাঁচটি ভাষায় তা সম্প্রচার করা হয়। পরে সময়ের সঙ্গে অনুবাদের ভাষার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো অনুবাদ প্রকল্পে বাংলা ভাষা যুক্ত হয়। সে বছর মোট ১০টি ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ করা হয়। ২০২১ সালেও বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবা অনুবাদ করা হয়। এরপর ২০২২ সালে ১৪টি, ২০২৩ সালে ২০টি এবং ২০২৪ সালে ২০টির বেশি ভাষায় খুতবা অনুবাদ করা হয়।
মন্তব্য করুন