কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

চোরাই মার্কেট থেকে কিছু কিনে ব্যবহার করা যাবে?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম। আর ইসলাম চুরিকে নিশ্চিতভাবে গর্হিত ও ঘৃণিত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছে। কোরআন-হাদিসে চুরির বিষয়ে কঠোর শাস্তির কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। সেইসঙ্গে চুরির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বা বস্তু ব্যবহার করাও শরিয়তে কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ কর না এবং জনগণের সম্পদের সামান্য অংশও জেনে-শুনে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে শাসন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিও না।’ (সুরা বাকারা : ১৮৮)

সুরা মায়িদাতে তিনি বলেন, ‘যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী।’ (আয়াত : ৩৮)

তবে চুরি করলেই হাত কেটে দেওয়ার বিধান দেওয়া হয়নি; বরং হাত কাটার শাস্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

আমাদের দেশে গোপন বা প্রকাশ্যভাবে এমন কিছু মার্কেট গড়ে উঠেছে, যেগুলো ‘চোরাই মাল’ বিক্রির জন্য পরিচিত। এসব মার্কেটে সাধারণত মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশসহ নানা ধরনের চুরিকৃত দ্রব্য কম দামে বিক্রি হয়। অনেকেই এসব পণ্য লোভে পড়ে কিনে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এসব চোরাই মাল কি ব্যবহার করা যাবে?

ফুক্বাহায়ে কেরাম বলছেন, চোরের জন্য চোরাই মাল বিক্রি করা যেমন জায়েজ নয়, জেনেশুনে চোরাই মাল কেনা এবং তা ব্যবহার করাও জায়েজ নয়। কোনো মার্কেট যদি চোরাই মালের মার্কেট হিসেবে প্রসিদ্ধ হয় এবং এ ব্যাপারে নিশ্চিত জ্ঞান বা প্রবল ধারণা থাকে যে, ওই মার্কেটে যা বিক্রি করা হয় তা চুরিকৃত তাহলে কারও জন্য ওই মার্কেট থেকে কোনো কিছু কেনা এবং তা নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।

প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, জেনেশুনে চোরাই মার্কেট থেকে কোনো জিনিস ক্রয় করা জায়েজ নয়। কারণ, সেটা চোরকে চুরি করতে এবং চোরাই পণ্য বিক্রি করতে সমর্থন করার শামিল। হ্যাঁ, আপনার কাছে যদি জিনিসটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় যে, এটা চোরাই মাল হতে পারে আবার না ও হতে পারে, সেক্ষেত্রে ক্রয় করা জায়েজ আছে। তবে এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

হাদিস শরিফে হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি চোরাই মাল জেনেশুনে কিনল, সে চুরির গুনাহ এবং লাঞ্ছনার ক্ষেত্রে অংশীদার হলো।’ (সুনানে বায়হাকি : ১১১৪১, মুসতাদরাকে হাকেম : ২২৫৩)

কাজেই, কেউ যদি এ রকম মার্কেট থেকে বা চোরের কাছ থেকে চোরাই কিছু কিনে থাকে, তার জন্য ওই বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ নয়। বরং ওই বস্তু প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা জরুরি। কোনোভাবেই মূল মালিকের সন্ধান পাওয়া সম্ভব না হলে তা সদকা করে দিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুরাদনগরে পুরুষশূন্য গ্রামে চুরি-ডাকাতির শঙ্কা, বিক্ষোভ

হাসপাতালের পার্কিংয়ে ২ মরদেহ, আদম ব্যবসায়ীরা হত্যা করেছে অভিযোগ

আইএল টি-টোয়েন্টিতে দল পেলেন মোস্তাফিজ

ভারতে ২০০ লোকের ধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরী উদ্ধারে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

কাল নিজের জানাজার ঘোষণা দিলেন হিরো আলম

ডিবি অফিসে সারজিস-হাসনাতকে যে কথা বলে সাহস জুগিয়েছিলেন এ্যানি

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য জব্দ

কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

কুয়েত-দুবাইগামী দুটি ফ্লাইট বাতিল বিমানের 

রাজধানীতে শুরু হচ্ছে হজ ও ওমরাহ মেলা

১০

বিএনপি মিলে-মিশে দেশ পরিচালনা করবে : তারেক রহমান

১১

কুমিল্লায় ছিনতাইয়ের কবলে কালবেলার কর্মকর্তা, ৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

১২

প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

১৩

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না, বললেন নাসীরুদ্দীন 

১৪

‘আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে মানহানি মামলা হয়’

১৫

ব্রেভিসের ব্যাটে রেকর্ডের ঝড়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রোটিয়াদের ইতিহাস

১৬

আকিজ গ্রুপে কাজের সুযোগ, থাকছে না বয়সসীমা

১৭

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৮

নার্স নিয়োগে বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নেবে ৮০০ জন

১৯

সাতক্ষীরায় জামায়াতের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত

২০
X