ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ এএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কেয়ামতের দিন যে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ বাদী হবেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যু মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য সত্য। ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, শক্তিশালী-দুর্বল— সবার জন্যই মৃত্যু এক অনিবার্য গন্তব্য। আর আমরা যে দুনিয়ায় বাস করি, এটি সাময়িক। পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করছেন, ‘জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।’ (সুরা কাহাফ : ৭)

সুরাতুল বাকারায় ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ইমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তাদের সুসংবাদ দাও, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। ( আয়াত : ২৫)

সুরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহূর্তও বিলম্বিত কিংবা ত্বরান্বিত করতে পারবে না।’ (আয়াত : ৬১)

মৃত্যুকে ‘আলিঙ্গনের’ পর প্রত্যেকের কাছে তার চিরস্থায়ী আবাসস্থল তুলে ধরা হয়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির সামনে তার মূল বাসস্থানকে তুলে ধরা হবে। সে যদি জান্নাতি হয়, তবে জান্নাতের বাসস্থান আর যদি সে জাহান্নামী হয়, তবে জাহান্নামের বাসস্থান। পরে বলা হবে, এই তোমার স্থান। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করবেন। (তিরমিজি : ১০৭২)

আর কেয়ামত প্রসঙ্গে রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘সেদিন মানুষ নিজের ভাই, নিজের মা, নিজের পিতা, নিজের স্ত্রী ও সন্তানাদি থেকে পালাবে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর সেদিন এমন সময় এসে পড়বে, সে নিজেকে ছাড়া আর কারও প্রতি লক্ষ করার মতো অবস্থা থাকবে না।’ (সুরা আবাসা : ৩৪-৩৭)

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি মহানবীকে (সা.) বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মানুষ উলঙ্গ হয়ে খতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে এসে দাঁড়াবে। এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! নারী-পুরুষ সবাই কি উলঙ্গ থাকবে? এমন হলে তো খুবই লজ্জার ব্যাপার। উত্তরে হুজুর (সা.) বললেন, ‘হে আয়েশা, সেদিনের পরিস্থিতি এত ভয়ংকর হবে, কেউ কারও দিকে তাকানোর কথা কল্পনাও করতে পারবে না।’ (মুসলিম : ৬৯৩৪)

এ জন্য ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে সফলকাম হতে নবীজি (সা.) বিভিন্ন হাদিসে উম্মতদের যেমন নানা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন, তেমনি বাতলে দিয়েছেন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথও। তবে, এর মধ্যে একটি হাদিসে ৩ ব্যক্তির কথা এসেছে, কেয়ামতের দিন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যাদের বিরুদ্ধে বাদী হবেন।

হাদিসটিতে রাসুল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন যে, কেয়ামতের দিবসে আমি নিজে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব—

১. যে আমার নামে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে

২. যে কোনো আজাদ (মুক্ত) মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করে

৩. যে কোনো মজুর (শ্রমিক) নিয়োগ করে তার থেকে পুরো কাজ আদায় করল এবং তার পারিশ্রমিক দিল না। (বোখারি : ২২৭০)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু

‘নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন রাবির সাবেক শিক্ষার্থী

পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি : শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায় ২৭ নভেম্বর

২৪ ঘণ্টায় ৯১ ভূমিকম্প

গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

ছেলেটাকে খুব ছুঁয়ে দেখতে মন চায়: মাহিয়া মাহি

হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আসবাবের যেসব রং ঘরকে সুন্দর ও আরামদায়ক দেখাবে

বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

বড় জয়ে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১০

রাত হলেই শিশুপার্কটি হয়ে ওঠে মাদকের আড্ডাখানা

১১

অপেক্ষা বাড়ছে বাংলাদেশের, দরকার ২ উইকেট

১২

আয়ারল্যান্ড সিরিজে থাকছেন না তাসকিন, বদলি কে

১৩

নদীগর্ভে বিলীন সড়ক, ৩ জেলার যোগাযোগে দুর্ভোগ

১৪

অসৎ লোককে নির্বাচিত করলে কপালে ভোগান্তিই আসবে : দুদক চেয়ারম্যান

১৫

বড় আকারের ভূমিকম্প মোকাবিলা নিয়ে উদ্বেগ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

১৬

দুই দিনে টেস্ট জিতে বড় ‘বিপদে’ অস্ট্রেলিয়া

১৭

রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই যেভাবে বুঝবেন লিভার ঠিক আছে কি না

১৮

৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমার

১৯

বিসিবি থেকে বড় সুখবর পেলেন তাসকিন-মুস্তাফিজ

২০
X