স্বামী-স্ত্রী। এমন একটি সম্পর্ক এক সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। এই সংসার জীবনে একে অপরের ওপর বেশকিছু অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইসলাম নারীকে স্বামীর হকের প্রতি দায়িত্বশীল এবং সংসার আগলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে স্বামীকে স্ত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার এবং তার অধিকার আদায়ে সচেতন থাকার কথা বলেছে।
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পরের সহযোগী বলা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তারা তোমাদের পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের পোশাকস্বরূপ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত, ১৮৭)
ইসলাম অনুযায়ী প্রত্যেক স্ত্রীকে স্বামীর প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে স্বামীর প্রত্যেক বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। ছোট ছোট বিষয়ে স্বামীর প্রশংসা করা উচিত। যেমন স্বামীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো।
এ ছাড়াও স্বামীর জন্য দোয়া করা উচিত। যাতে করে সংসার জীবনে স্বামীর সুস্থতা ও উন্নতি লাভ করতে পারে।
স্বামীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উত্তম। খরচের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া এবং অল্পে তুষ্ট থেকে ধৈর্যের সঙ্গে সংকট মোকাবিলায় স্বামীর পাশে থাকা।
স্বামীর পাশে থেকে তার আয়-উপার্জনে সঙ্গী ও সহযোগী হওয়ার চেষ্টা করা উত্তম। ইসলামে অল্প তুষ্ট ও সহমর্মিতার সঙ্গে স্বামীর পাশা থাকার অনুপ্রেরণা এসেছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ أَسْلَمَ وَرُزِقَ كَفَافًا وَقَنَّعَهُ اللَّهُ بِمَا آتَاهُ
অর্থ: সে ব্যক্তি নিশ্চিতভাবে সফল, যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছে; যাকে পরিমিত জীবিকা দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহতাআলা তাকে যা দিয়েছেন তাতে তুষ্ট থাকার শক্তি দিয়েছেন।’ (মুসলিম)
স্বামীর আর্থিক সংকট ও আয়-উপার্জন কম হওয়ায় অভাব-অনটনের কারণে স্ত্রীর জন্য কোনোভাবেই আলাদা থাকা বৈধ নয়।
বরং এসব ক্ষেত্রেও স্বামী-স্ত্রী মায়া ও ভালোবাসার বন্ধনে একসঙ্গে বসবাস করবে। স্বামীকে হালাল উপার্জনে সহায়তা করবে এবং উৎসাহ জোগাবে। এমনটি করলে আল্লাহ তাদের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক সুদৃঢ় করবেন এবং অল্প অর্থ-সম্পদেও বরকত দান করবেন।
মন্তব্য করুন