কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আবরার ফাহাদ হত্যা

আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়ে মির্যা গালিবের স্ট্যাটাস

অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।

মির্যা গালিব লেখেন, আবরার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন আসামি শিশির ভাইয়ের চেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট আর পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ (circumstantial evidence) দেখে উনার চেম্বার ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের মামলা গ্রহণ করে নাই। এই পাঁচজনকে নিরাপরাধ বলে মনে হয় নাই উনাদের কাছে। বাকি ৭ জনের মধ্যে দুজনের ক্ষেত্রে আইনজীবী হিসেবে উনার সাবমিশন ছিল মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আদালত যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। অর্থাৎ এই দুইজনকে উনি নির্দোষ বলে মনেও করেন নাই, আদালতে আইনজীবী হিসেবে তাদেরকে নির্দোষ বলে দাবিও করেন নাই। বরং উনি শুধু মনে করেছেন যে, অপরাধের সঙ্গে এই দুইজনের সংশ্লিষ্টতা মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার লেভেলের না। আরেকটু ছোট শাস্তি হওয়া উচিত। বাকি পাঁচ জনের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণ (circumstantial evidence) এর ভিত্তিতে তার মনে হয়েছে তারা ফৌজদারি অপরাধ করেন নাই।

তিনি লেখেন, আমি যেহেতু সাক্ষ্যপ্রমাণের ডিটেইলস ব্যক্তিগতভাবে পর্যালোচনা করি নাই, শিশির ভাইয়ের জুডিশিয়াল মাইন্ডের জাজমেন্ট ঠিক আছে কি না, আমি তা বলতে পারব না। কিন্তু এইটুকু আমি দেখতে পাইতেছি যে, উনি যাদেরকে অপরাধী মনে করেছেন তাদের মামলা নেন নাই। দুইজনের ক্ষেত্রে তাদেরকে নিরাপরাধ হিসেবে আরগুমেন্টও করেন নাই। বরং তাদের সেন্টেন্সিং (শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ) এর ক্ষেত্রে আরগুমেন্ট করেছেন। এইটাকে জুডিশিয়াল নৈতিকতার বাইরে বলে মনে হচ্ছে না আমার কাছে।

অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব লেখেন, আবরার আমাদের সময়ের হিরো। যারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমাদের সবার কাম্য। একজন আইনজীবী কাউকে অপরাধী হিসেবে বিশ্বাস করলে কোর্টে গিয়ে তাকে নিরাপরাধ হিসেবে আরগুমেন্ট করতে পারেন না। করলে সেইটা অনৈতিক হয়। কিন্তু একজন আইনজীবী যদি মনে করেন, অভিযুক্ত কেউ অপরাধের তুলনায় বেশি শাস্তি পেয়েছেন অথবা ভুলক্রমে অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছেন, তাহলে তার পক্ষে দাঁড়ানোর নৈতিক অধিকার রাখেন। এই জায়গা থেকে আমি শিশির ভাইয়ের পজিশনকে সমালোচনা করব না। এই মামলা হয়তো উনি না নিলেই ভালো করতেন। কিন্তু উনি যদি সত্যিই কাউকে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নিরাপরাধ মনে করেন, তাইলে উনার চিন্তা অনুযায়ী প্রফেশনাল আচরণ করাই উনার কর্তব্য।

তিনি আরও লেখেন, আমি যেহেতু সাক্ষ্যপ্রমাণের ডিটেইলস ব্যক্তিগতভাবে পর্যালোচনা করি নাই, আমার আস্থা আছে এমন একাধিক আইনজীবী যদি পর্যালোচনা করে শিশির ভাইয়ের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন, তাইলে ‘শিশির ভাইয়ের জুডিশিয়াল মাইন্ডের জাজমেন্ট’র ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্ত আমি পরিবর্তন করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কক্সবাজারে পর্যটকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

ইসরায়েলের সব কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ কলম্বিয়ার

সবগুলোকে নিয়ে সংসার করব: স্বস্তিকা মুখার্জি

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আজ

কাচঁপুর সেতুতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

বাল্যবিয়ে করতে এসে কারাগারে গেলেন বর

ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও গাজার দিকে যাচ্ছে ৩০ নৌযান

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব

১০

তারকা ফুটবলারকে ছাড়া বড় চমক রেখে ব্রাজিলের দল ঘোষণা

১১

ফের মা হতে চলেছেন সোনম কাপুর

১২

অপরূপ সৌন্দর্যের জলফড়িং পিঙ্গল বুনো উকরি

১৩

রাজধানীর যেসব ঘাটে হবে প্রতিমা বিসর্জন

১৪

বিলিয়নিয়ার ক্লাবে শাহরুখ খান

১৫

পীরগাছায় মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত : পরিস্থিতি কেমন ও ঝুঁকি কতটা

১৬

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক ৩৭ দেশের দুই শতাধিক কর্মী

১৭

অবশেষে মুক্তির স্বাদ পেলেন রিয়া চক্রবর্তী 

১৮

সুমুদ ফ্লোটিলায় গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীরা ইসরায়েলি হেফাজতে

১৯

ট্রেনের নিচে মিঠুন, ঋণের বোঝায় দিশেহারা মা

২০
X