ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নতুন প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমের শুরুটা মোটেই সুখকর হলো না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য। প্রথম ম্যাচেই রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা ১-০ ব্যবধানে হেরে গেল আর্সেনালের কাছে। ম্যাচে দুই দলই আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ চালালেও একটা ভুলই ম্যাচ নির্ধারণ করে দেয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইউনাইটেড চেষ্টা করছিল আক্রমণ তৈরির, কিন্তু ১৩তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে তারা। ডেক্লান রাইসের তোলা কর্নার সামলাতে গিয়ে গোললাইনেই আটকে যান ইউনাইটেড গোলকিপার আলতাই বায়িন্দির। দুর্বলভাবে বল ঠেকানোর চেষ্টা করে সেটিকে উলটো ক্যালাফিওরির মাথায় পৌঁছে দেন তিনি। কাছ থেকে সহজ হেডে গোল করে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার।
গোলের পর ইউনাইটেড ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। নতুন দুই ফরোয়ার্ড মাথুজ কুনহা ও ব্রায়ান এমবেমো আক্রমণে ধার দেখান এবং ম্যাচজুড়ে আর্সেনাল রক্ষণকে ব্যস্ত রাখেন। কুনহার তিনটি শট এবং এমবেমোর একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ দারুণ সেভে ফেরান আর্সেনালের গোলকিপার ডেভিড রায়া। সেইসঙ্গে মাঝমাঠে ক্যাসেমিরো অসাধারণ পাসিংয়ের মাধ্যমে আক্রমণ সাজিয়ে গেছেন।
ইউনাইটেড পুরো ম্যাচে ২০টি শট নিলেও তা থেকে কোনো গোল আদায় করতে পারেনি। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, আর্সেনালের বিপক্ষে তারা এত শট নিয়েছে ২০১১ সালের পর এবারই প্রথম। কিন্তু ফল মেলেনি।
আর্সেনালের পক্ষেও কিছু সমস্যা দেখা গেছে। ৬৪ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে আসা নতুন স্ট্রাইকার ভিক্টর গিওকেরেস অভিষেক ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। পুরো ফিট না থাকায় বারবার বল ধরে রাখতে ও দৌড় দিতে কষ্ট হচ্ছিল সুইডিশ স্ট্রাইকারের। ফলে ৬০ মিনিটেই তাকে তুলে নেন মিকেল আর্তেতা, যার পর ইউনাইটেড সমর্থকরা গিওকেরেসকে কিছুটা ব্যঙ্গ করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন।
রক্ষণভাগে ক্যালাফিওরি গোলের পাশাপাশি দারুণভাবে দলের আক্রমণেও অবদান রাখলেও তার আর বেন হোয়াইটের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবে বেশ কয়েকবার এমবেমো সহজে সুযোগ পেয়েছেন। এর পরও ভালোভাবে ম্যাচটি ধরে রাখে আর্সেনাল।
শেষ অবধি বায়িন্দিরের সেই একমাত্র ভুল গোটা ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেয় এবং আর্সেনাল তাদের শেষ ছয় প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে পঞ্চমবার ইউনাইটেডকে হারানোর রেকর্ড গড়ে মৌসুম শুরু করল দারুণ এক জয়ে।
মন্তব্য করুন