কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইমাম হাসান আজাদ বলেছেনে, ‘উপকূলীয় এলাকায় একশ্রেণির অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় বোটে অবৈধ ট্রলিং ট্রলার ও কারেন্টজাল দিয়ে মাছ ধরছে। এতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, মাছের প্রজনন ব্যাহত ও স্থানীয় জেলেদের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তায় গত ৬ মাসের সাফল্য তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ক্যাপ্টেন ইমাম হাসান আজাদ বলেন, ‘সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার দমন, অবৈধ ট্রলিং প্রতিরোধ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, জাটকা নিধন, মা ইলিশ সংরক্ষণ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা মূল্যের ৬৫ কোটি মিটার অবৈধ জাল, ১ হাজার ৫০০টি বেহুন্দি জাল ও ৫ হাজার ৬০০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়াও প্রায় ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭৭ হাজার কেজি জাটকা, ২০ হাজার কেজি ইলিশ মাছ, ৩১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ, ১৭ হাজার কেজি পাঙাশের পোনা এবং ৬ কোটি ৭২ লাখ পিস চিংড়ির রেণুপোনা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পোনা নদীতে অবমুক্ত করায় মাছের বিচরণ আগের তুলনায় বর্তমানে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযানে আনুমানিক ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৩৩টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ক্যাপ্টেন ইমাম হাসান আজাদ বলেন, সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশীল করার লক্ষ্যে সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদী-তীরবর্তী অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। ভবিষ্যতেও উক্ত কার্যক্রমগুলো অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন