নির্বাচনের পরেও ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও গ্রহণযোগ্যতাকে সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার কাজে লাগালে অনেক বড় ফায়দা হাসিল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান।
শনিবার (৩১ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এ পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
পোস্টে মারুফ কামাল খান লিখেন, ‘ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার হচ্ছে বিএনপির অঙ্গীকার। সেই ফয়সালাটা চটজলদি করে ফেলুন। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের পরিণতি কিন্তু খুব খারাপ হবে। সমঝোতা ও ঐক্যই সাফল্যের একমাত্র পথ এখন। সবাই মিলে দেশ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেই তো সব ঝুট ঝামেলা চুকে যায়। বিরোধী দলের ভূমিকায় কারা থাকবে তাও নির্ধারণ করে ফেলা যায়। আমার চিন্তা, জাতীয়তাবাদী ও মডারেট পার্টিগুলো এবং রব, মান্না, সাকি, সাইফুল হকদের মতো লিবারাল বামেরা বিএনপির সাথে সরকারে থাকবে আর ইসলামিস্টরা থাকবে বিরোধী দলে।’
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে মারুফ কামাল লিখেন, ‘আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত সম্পর্কেও সর্বসম্মত একটা সিদ্ধান্ত দরকার।’
তিনি লিখেন, ‘আমি মনে করি, এগুলো মোটেও ইউটোপিয়া নয়। সবাই ভেবে দেখতে পারেন। চব্বিশের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের বিজয় জাতীয় জীবনে যে অমিত সম্ভাবনা এনেছে সংকীর্ণ স্বার্থে ও আত্মশ্লাঘায় আমরা যেন তা ধ্বংস করে না করি।’
মন্তব্য করুন