সম্প্রতি ‘মাসুদের টানে বাংলাদেশে এসে বিপাকে ভারতীয় কিশোরী’ শীর্ষক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের ছবিসহ মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলার একটি ফটোকার্ড সম্পাদন করে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
মূলত কালবেলা এ ধরনের কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং এর প্রেক্ষিতে কোনো ফটোকার্ডও প্রকাশ করেনি। তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, ‘মাসুদের টানে বাংলাদেশে এসে বিপাকে ভারতীয় কিশোরী’ শীর্ষক তথ্যটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে কালবেলার ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে কালবেলার লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ২৯ মে, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
কালবেলার লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি-সংবলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কালবেলার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও ওই দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে গত ২৯ মে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘মাসুদের টানে বাংলাদেশে এসে বিপাকে ভারতীয় কিশোরী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সঙ্গে এই ফটোকার্ডের ডিজাইন ও ফটোকার্ডে ব্যবহৃত নারীর ছবির ও শিরোনামের হুবহু মিল রয়েছে। প্রচারিত ফটোকার্ডে আব্দুল হান্নান মাসউদের ছবি থাকলেও কালবেলার মূল ফটোকার্ডে তার ছবি নেই।
মূল ফটোকার্ড সংবলিত কালবেলার ফেসবুক পেজের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গেছে গণমাধ্যমটির প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদন। সেখান থেকে জানা যায়, ‘২৮ মে নওগাঁর সাপাহারে প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসলে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাবনগোলা থানার কাশেমপুর গ্রামের কিশোরীর (১৬) সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় সাপাহার উপজেলার ঘাসডাঙ্গা গ্রামের আফজালের ছেলে যুবক মাসুদের। পরে মাসুদ ভারতে কাজ করতে গেলে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ঘটনার দিন দুপুরে প্রেমিক মাসুদের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে কিশোরীটি।’
অর্থাৎ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদের ছবি যুক্ত করে বসিয়ে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন