

গণভোট জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে হবে এবং এটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের পর ফেসবুকে তিনি লেখেন-
এক, যদিও গণভোটে চারটা প্রশ্ন থাকবে, কিন্তু হ্যাঁ/না ভোট সবগুলোর জন্য একসঙ্গে একটা। কাজেই এইটা মূলত একটা প্যাকেজ। ডিসেন্টগুলো আলাদা করে একটা আলাদা প্যাকেজ করার যে আইডিয়া- এটা এখানে অনুপস্থিত।
দুই, তবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটের প্রশ্নটাকে যে চার ভাগে ভাগ করল, এর পেছনে অন্য একটা ফিলসফি কাজ করছে। কিছু বিষয়কে তারা নন-নেগশিয়েবল হিসেবে ধরে নিয়ে এক প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে দিয়েছে। আর এর বাইরের বিষয় পরের পার্লামেন্টের উপর ছেড়ে দিয়েছে। যেমন, উচ্চকক্ষে পিআর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন গঠন- এগুলো নন-নেগোশিয়েবল, ফলে গণভোটে এক প্যাকেজের মধ্যেই যাবে। এরকম আরও কিছু নন-নেগোশিয়েবল ইস্যু আছে। এর বাইরের বিষয়গুলো পরের পার্লামেন্টের কাছে যাবে, চতুর্থ প্রশ্নে এটা বলা আছে, জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিন, আমার মতে দুটা প্যাকেজ হইলে সবচাইতে ভালো হইত। কিন্তু যে বিষয়গুলোকে সরকার নন-নেগশিয়েবল বলে মনে করছে, এগুলোকে আমি নন-নেগোশিয়েবল বলেই মনে করি। ফলে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত খুব খারাপ হইছে বলে মনে করি না।
চার, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের সাথে হবে। এটা নিয়ে আমি কোনো সমস্যা দেখি না। আইনি কাঠামো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা হয়ে গেছে। এখন গণভোট নির্বাচনের সাথে হইলে বিএনপি কিছুটা একোমোডেটেড ফিল করবে- এটা বরং ন্যাশনাল ইউনিটির জন্য ভালো।
পাঁচ, জামায়াত এবং এনসিপি যে সংস্কার চাইছে, তার প্রায় পুরোটাই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। জামায়াতের উচিত নিম্নকক্ষে পিআর আর গণভোটের তারিখ আগায়ে আনার দাবি কম্প্রোমাইস করা। নিম্নকক্ষের পিআর আমাদের জন্য মোটেও ভালো হবে না। আর গণভোট আগে হইলে হয়তো কিছুটা ভালো হইত, আর একসাথে হইলেও অনেক প্রব্লেম হয়ে যাবে- এমন কিছু না।
ছয়, বিএনপি পুরো সংস্কার প্রক্রিয়ায় উল্টা রাস্তায় হাঁটছে। তারা রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডাকে ডমিনেট করতে পারতেছে না। বিএনপির উচিত সংস্কার ইস্যুতে তাদের পজিশান দলীয়ভাবে রিভিউ করা।
ইউনূস সরকার আর আলী রিয়াজের এ কমিশন বাংলাদেশের ইতিহাসের পার্ট হয়ে উঠল। দুই চারটা চোরাগুপ্তা হামলা করে আওয়ামী লীগ নিজের আরও ক্ষতি করা বাদে আর কিছু করতে পারবে না ইনশাল্লাহ। জুলাই আর আমাদের এই ন্যাশন বিল্ডিং বাংলাদেশকে বদলে দিবে, ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন