আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে এ কথা বলে তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নেতৃত্বে দ্রুত পরিবর্তনের আভাস দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এ সময় তাকে স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ অন্য কর্তারা। পরে ঊর্ধ্বতন সব কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
এ সময় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। সূচি অনুযায়ী নারী টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা আগামী ৩ অক্টোবর। ২০১৪ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা বাংলাদেশের। তবে শঙ্কার মুখে পড়েছে এ আয়োজন।
বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরতের কথা ভাবছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তবে নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
এদিকে সচিবালয়ে অফিস করতে এসে জানালেন শঙ্কার কথা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারে এরই মধ্যে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমি আজই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। তিনি যেহেতু একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা এ বিষয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব। কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।’
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদের আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদের পরামর্শ দেওয়া ও নিতে পারব। আর বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’
মন্তব্য করুন