এশিয়া কাপ দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে ডাক পেয়েছেন তানজীদ হাসান তামিম। বাংলাদেশের হয়ে নিয়মিত ওপেন করা তামিম ইকবালের অনুপস্থিতি এবং অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ‘এ’ দলের হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে তরুণ এই ওপেনারের ডাক পাওয়া অনেকটাই অনুমিত ছিল।
দ্বিতীয় দফায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হয়ে আসার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল তিনি জাতীয় দলে দেখতে চান সৌম্য সরকারকে। তবে কোথাও আশানুরূপ পারফর্ম না করায় সুযোগ পাচ্ছিলেন না এই বাঁহাতি ব্যাটার। যার কারণে হাথুরু তার ওপর আস্থা রাখতে পারেননি বলে ধারণা করা হয়। সৌম্যর এই অফফর্ম আর তানজীদের গত মাসের ইমার্জিং এশিয়া কাপে ৪ ম্যাচে ৩টি ফিফটি জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় এই ওপেনারের জন্য। অল্প সময়ের ব্যবধানে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগও পেয়ে গেলেন তিনি।
এশিয়া কাপের দলে তানজীদের সুযোগ পাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
আজ (শনিবার) মিরপুরে দল ঘোষণার পর নান্নু বলেন, ‘তানজীদ তামিমকে নিয়ে আমরা নির্বাচকরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওকে এইচপিতে অনেক নার্সিং করা হয়েছে। সর্বশেষ ইমার্জিং কাপেও কিন্তু যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছে। আমরা আশাবাদী ইনশাআল্লাহ দেশের জন্য ভালো কিছু দিতে পারে সে, আমরাও তার অপেক্ষায় আছি।’
এর আগেও তামিমের ব্যাক-আপ ওপেনার হিসেবে তানজীদ তামিমকে জাতীয় দলে নেওয়ার আলোচনা চলছিল। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমও তাকে দলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। জুনিয়র তামিমের প্রতিভা ও খেলায় আস্থা রাখার কথাও জানান তিনি। তামিম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পরে খেলেছেন এইচপি, বাংলাদেশ টাইগার্স ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলে।
২০১৯ সালে লিস্ট ‘এ’ খেলায় অভিষেক হওয়ার পর পরে ৪৩ ম্যাচে ২৭.৮ গড়ে করেছেন ১১৪০ রান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের তুলনায় ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছুটা পিছিয়ে তামিম। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক না হলেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে ঠিকই নিজেকে বড় মঞ্চের খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছেন। যার সুবাদেই জাতীয় দলের হয়ে তামিমকে এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে দেখা যেতে পারে। এখন দেখার বিষয়, তিনি কী করতে পারেন।
মন্তব্য করুন