পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ম্যাচ গড়াল শেষ ওভারে। সেখানেও নাটকীয়তা ভরা ছিল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। গত বছর এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে ফজল হক ফারুকিকে টানা ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন নাসিম শাহ। আবারও সেই একই বোলারকে দুটি চার মেরে ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দিয়েছেন বোলার নাসিম শাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ৩০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা ১ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে নাসিম শাহ-হারিস রউফরা। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতে ২-০ তে জিতে নিল বাবর আজমের দল।
জয়ের জন্য ৩০১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ১১৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৭০ রানের সময় ফজল হক ফারুকির বলে ক্যাচ দিয়ে ৫৩ রান করে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ৬ রানের ব্যবধানে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান উইকেটকিপার রিজওয়ানও।
ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে পাকিস্তানের হাত থেকে আফগানিস্তানের কাছে চলে যায়। ২১১ রানের সময় ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ৯১ রান করে ফিরে যান ওপেনার ইমাম। তখনই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আফগান বোলারদের কাছে চলে যায়। সপ্তম জুটিতে দুই অলরাউন্ডার সাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ ৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। তবে আফগান পেসার আব্দুল রহমানকে ছক্কা মারতে গিয়ে ১৭ রানে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইফতিখার।
ইফতিখার আহমেদ সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ফিরলে তখনও পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ২২ বলে ৪২ রান। ক্রিজে তখন একমাত্র ব্যাটার হিসেবে সাদাব খান। শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। প্রথম বলেই সাদাবকে ‘মানকড’ আউট করে ফেরান ফারুকি। শেষ উইকেটে বাবর আজমদের দরকার তখনও ৬ বলে ১৭ রান। ব্যাটে দুই বোলার নাসিম-হারিস। প্রথম ও পঞ্চম বলে ফারুকিকে চার মেরে পাখির মতো ডানা মিলে দৌড় দেন নাসিম। পুরো পাকিস্তান শিবির আনন্দে মেতে ওঠে নাসিমের সঙ্গে। ফারুকি সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯.৫ ওভারে ২২৭ রান তোলে আফগানিস্তান। ১০১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রান করে ইব্রাহিম আউট হন। ৪৫তম ওভারে ১৫১ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে ১৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন গুরবাজ। ইব্রাহিম ও গুরবাজের পর আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারাই ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০০ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানরা। পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি ২টি এবং নাসিম ও উসামা মীর একটি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন