আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও বড় ধরনের পরিবর্তনের পথে হাঁটছে আইসিসি। জুন থেকে টেস্টে এবং জুলাই থেকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন প্লেয়িং কন্ডিশনস বা খেলার নিয়মাবলি। আর এই নিয়মগুলোর বাস্তব প্রয়োগ শুরু হবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে।
সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন—ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে নতুন বলে খেলার নিয়ম আংশিক বাতিল করে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এক বলের ব্যবস্থাকে, যা পেসারদের জন্য স্বস্তির খবর হলেও ব্যাটসম্যানদের জন্য হতে পারে নতুন চ্যালেঞ্জ।
আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে ওভারের ১ থেকে ৩৪ পর্যন্ত দুটি নতুন বল ব্যবহার হবে। ৩৫তম ওভারের আগে ফিল্ডিং দলকে একটি বল বেছে নিতে হবে—পরবর্তী ১৬ ওভারের জন্য সেই বলটিই উভয় প্রান্তে ব্যবহৃত হবে।’
রান–বন্যা রোধ এবং রিভার্স সুইং ফিরিয়ে আনতেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়াও ম্যাচ শুরুর আগে প্রতিটি দলকে পাঁচজন সম্ভাব্য কনকাশন রিজার্ভ খেলোয়াড়ের তালিকা দিতে হবে। এদের মধ্যে থাকবেন একজন ব্যাটার, উইকেটকিপার, পেসার, স্পিনার ও অলরাউন্ডার।
বিরল পরিস্থিতিতে যদি কোনো কনকাশন রিজার্ভ খেলোয়াড়ও চোট পান, তাহলে ম্যাচ রেফারি বিশেষ বিবেচনায় একজন নতুন খেলোয়াড়ের অনুমতি দিতে পারবেন।
কার্যকর হচ্ছে কখন থেকে?
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল (১১ জুন, লর্ডস) অবশ্য পুরনো নিয়মেই অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরই হতে যাচ্ছে আইসিসির নতুন যুগে প্রবেশের সূচনা। ওয়ানডের এক বলের নিয়মে ম্যাচের ভারসাম্য রক্ষা, কনকাশন বদলিতে সুনির্দিষ্টতা—সব মিলিয়ে ক্রিকেটে ফিরছে নতুন ধারা।
মন্তব্য করুন