অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে মাঠে গড়িয়েছে এশিয়া কাপের ষোড়শ সংস্করণ। ওয়ানডে ফরম্যাট হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় বাংলাদেশ দলকে আপনার সমীহ করতেই হবে। বেশ কয়েক বছর ধরে ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তিও বলা যেতে পারে সাকিব বাহিনীকে।
তবে যেকোনো দলের জন্য পারফর্ম করলেই শুধু হয় না। দলটির সাফল্য বিবেচনার মানদণ্ড সবসময়ই বৈশ্বিক শিরোপা। এই কারণে টাইগারদের চাওয়া ট্রফি। সেই মিশনে সামনে এখন এশিয়া কাপ, ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট মহাদেশীয় লড়াই। এবারের শিরোপার আলোচনায় আছে বাংলাদেশও। পছন্দের ফরম্যাট বলেই মুখিয়ে আছেন টাইগার ক্রিকেটাররাও। এখন দেখে নেওয়া যাক এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের মিশনে কে হতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ট্রাম্প কার্ড?
নাজমুল হোসেন শান্ত
একসময় বাতিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময় ট্রলের শিকার হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত এখন বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক। এই কথা কিছুদিন আগে খোদ শান্ত বিশ্বাস করতেন কি না সন্দেহ? তবে বর্তমানে এটিই সত্যি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে কোনও ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়ের ম্যান অব দ্য সিরিজ হন তিনি। নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন তারপর থেকেই। লিটনের অনুপস্থিতিতে এশিয়া কাপে শান্তর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে পুরো বাংলাদেশ। প্রতিভাবান এই ব্যাটারের ব্যাটে হাসি ফুটলেই বাংলাদেশের এশিয়া কাপের স্বপ্ন চলমান থাকবে।
সাকিব আল হাসান
বড় আসরে সাকিব কি করতে পারেন সেটা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেই দেখা গেছেন। আর এবার অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েই সাকিব বলেছেন, তার লক্ষ্য এখন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। মানে, সাকিবের চোখ শিরোপার দিকে। সাকিবের কথাকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডার ফের আরেকটি আসরে হবেন বাংলাদেশের প্রাণভোমরা। আবারও টাই সব সমস্যার সমাধান, সাকিব আল হাসান!
তাওহিদ হৃদয়
ক্যারিয়ারের পরিধি মাত্র অল্প ক’টা দিনের। এই সময়েই নিজেকে দারুণভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। এর মধ্যেই ব্যাট হাতে দলের অন্যতম ভরসা তিনি। ব্যস্ত ক্রিকেটার, উইকেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার লক্ষ্য একটা – রান বের করতে হবে – তা দলের অবস্থা, কন্ডিশন বা প্রতিপক্ষ যাই হোক না কেন। আর লঙ্কান কন্ডিশনটা তো লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) থেকেই বুঝে এসেছেন হৃদয়। এবার তাহলে আবার হৃদয় জয়ের পালা।
হাসান মাহমুদ
দলে মুস্তাফিজুর রহমান আছেন, আছেন তাসকিন আহমেদের মতো স্পিডস্টার। তারপরও বেশি ভরসা করা হবে হাসান মাহমুদের ওপরই। নতুন বলের কার্যকারিতা, সঙ্গে অনন্য ডেথ বোলিং – সব মিলিয়ে যে কোনো ব্যাটিং লাইন আপের জন্য হুমকির কারণ হতে পারেন হাসান। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং এখন আগের থেকে অনেকটাই পরিণত। আর এবারের এশিয়া কাপে সেই পরিণতি পেতে পারে নতুন মাত্রা। আর সেখানেই কান্ডারি হয়ে হাসাবেন হাসান মাহমুদ।
মন্তব্য করুন