গলের চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের হাতে চলে এসেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে তারা, লিড দাঁড়িয়েছে ১৮৭ রানে। হাতে এখনও ৭ উইকেট। এ অবস্থা থেকে ম্যাচ হারের সম্ভাবনা কার্যত নেই বাংলাদেশের, বরং এখন প্রশ্ন—জয়ের জন্য ঝাঁপাবে তো শান্তরা?
দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিনের মূল আলো ছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাদমান, তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। আর শান্ত অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। একপাশ আগলে রেখে পঞ্চম দিন লম্বা ইনিংস খেলার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তিনি। সঙ্গী হিসেবে আছেন মুশফিকুর রহিম, যিনি ২২ রানে অপরাজিত।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখায় বাংলাদেশ। শান্তর ১৪৮ ও মুশফিকের ১৬৩ রানে ভর করে ৪৯৫ রানের পাহাড় গড়ে সফরকারীরা। জবাবে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে ভরসা পান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৮৭ রানে। কিন্তু শেষদিকে নাইম হাসানের ঘূর্ণিতে (৫ উইকেট) তারা থেমে যায় ৪৮৫ রানে, ফলে প্রথম ইনিংসে ১০ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ৪ রানে ফেরেন এনামুল হক, আর মুমিনুল হক করেন ১৪। তবে শাদমান ও শান্ত মিলে গড়েন ৬৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে শাদমান এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন, কিন্তু শান্ত-মুশফিক মিলে আর কোনো বিপদ হতে দেননি।
শেষ দিনের সকালটা হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের হাতে সাত উইকেট আছে, লিড প্রায় ২০০-এর কাছাকাছি। ২৫০-এর ওপর লিড নিয়ে দ্রুত ঘোষণা করে লঙ্কানদের চাপে ফেলার কৌশল নিতে পারেন শান্ত। অন্যদিকে, উইকেট ধীরে ধীরে স্পিন সহায়ক হচ্ছে—যা ম্যাচের শেষ অধ্যায়ে টাইজুল-নাইমদের কাজে আসবে।
গলের উইকেটে ৪র্থ ইনিংসে ২৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করা সহজ কাজ নয়। ফলে এই টেস্টে জয় এখন বাস্তব চিত্র। তবে তার আগে চাই সাহসী কৌশল ও সকালের দ্রুত রান। বাংলাদেশ কি এবার শুধুই ড্র চায়, নাকি জয়কেই করবে একমাত্র লক্ষ্য—এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে।
মন্তব্য করুন