মাঠে গড়িয়েছে হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপ। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে দুটি ম্যাচ। আসরের তৃতীয় ম্যাচে দেখা মিলছে মহারণের। আজ শনিবার শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান।
রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে না দুই দেশ। ২০১৯ সালে সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিল ভারত-পাকিস্তান, তা আবার বৈশ্বিক আসরে। ম্যানচেস্টারে বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল ভারত।
রোহিত শর্মার ১৪০ রানের ইনিংসে পাকিস্তানকে ৩৩৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। কিন্তু বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে সে ম্যাচ জয় পায় ভারত। ধারণা করা হচ্ছে এই ম্যাচেও বাগড়া হতে পারে বৃষ্টি। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ক্যান্ডিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি।
পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে ভারতের থেকে এগিয়ে পাকিস্তান। এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৩২ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দুদল। পাকিস্তানের ৭৩ জয়ের বিপরীতে ভারত জিতেছে ৫৫টিতে। আর ফলাফল হয়নি চার ম্যাচে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৫৬ রান। আর ৩৪৪ পাকিস্তানের। সর্বোচ্চ ৩২৯ রানতাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ভারতের। আর ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৮ রানতাড়া করে জয় পায় পাকিস্তান।
দেশের মাটিতে জয়ের রেকর্ডে এগিয়ে পাকিস্তান। পাকিস্তানের জয় ১৪টি আর ভারতের জয় ১১টি ম্যাচে। বিদেশের মাটিতেও একই চিত্র। পাকিস্তানের ১৯টি জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ১১ ম্যাচে। আবার সবশেষ পাঁচ ম্যাচের হিসেবে এগিয়ে ভারত। ৪ হারের বিপরীতে পাকিস্তান জিতেছে মাত্র এক ম্যাচে।
এশিয়া কাপের লড়াইয়ে এগিয়ে ভারত। মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৭বার। এতে নয়বার জয় উৎসব করেছে ভারত। আর পাকিস্তান জিতেছে ছয়টি ম্যাচে। অন্য দুটির ফলাফল হয়নি।
তবে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় শক্তিমত্তায় পিছিয়ে নেই কোনো দলই। ব্যাটিং লাইনআপের পাশাপাশি বোলিংয়ে বেশ শক্ত পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজমদের সামনে ভুগতে হতে পারে ভারতীয় বোলারদের।
বল হাতে রোহিত-কোহলিদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে সক্ষম শাহিন শাহ আফ্রিদি-নাসিম শাহরা। অন্যদিকে অভিজ্ঞ রোহিত শর্মার অধীনে ভারতও আছে ভালো অবস্থায়। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপের পাশাপাশি বোলিংয়েও বেশ শক্ত অবস্থান ভারতের।
বিরাট কোহলি, শুভমন গিল আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। সেইসঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডারদের অভিজ্ঞতা আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে ভারতকে।
মন্তব্য করুন