রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার যশ দায়ালের বিরুদ্ধে ফের এক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার অভিযোগকারিণী এক কিশোরী—যার বক্তব্য অনুযায়ী, বিগত দুই বছর ধরে তাকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের আইপিএলের সময় জয়পুরে ঘটেছে চূড়ান্ত অপরাধ।
এই অভিযোগ পূর্বের ঘনঘটিত আরেক মামলার পর, দায়ালের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় গুরুতর অভিযোগ, যার ফলে তার ক্যারিয়ার কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে।
দৈনিক ভাস্কর সূত্রে জানা গেছে, কিশোরী অভিযোগ করেছে যে, ইয়াশ দায়াল তাকে পেশাদার ক্রিকেটে সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করে, এরপর যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই ঘটনার সূত্রপাত দুই বছর আগে, যখন মেয়েটির বয়স ১৭। অভিযোগ অনুযায়ী, সঙ্গানের থানার অন্তর্গত ঘটনা অনুযায়ী, ইয়াশ প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করেন সেই সময়েই।
এছাড়াও, আইপিএল ২০২৫ চলাকালীন, তিনি কিশোরীকে জয়পুরের সিতাপুরার একটি হোটেলে ডাকেন এবং সেখানেও তাকে আবার ধর্ষণ করেন বলে জানানো হয়েছে।
কিশোরীর অভিযোগ, যশ দায়াল তাকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে রেখেছিলেন এবং অবশেষে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই সপ্তাহে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
কিশোরীর বয়স ঘটনার সময় ১৮-র নিচে হওয়ায়, এই মামলা পকসো আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের জন্য কড়া শাস্তি নির্ধারণ করে। এই আইনের আওতায় অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে, কমপক্ষে ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে, সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও।
স্থানীয় থানার ইনচার্জ অনিল জৈমান বলেন, ‘তদন্ত চলছে। অভিযোগকারিণীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং মেডিকেল পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
এই নতুন মামলার আগে, চলতি জুলাই মাসের শুরুতেই গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম থানায় যশ দায়ালের বিরুদ্ধে আরেকটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় অভিযোগকারিণী দাবি করেন, পাঁচ বছর ধরে দায়াল তাকে ছলচাতুরি করে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত করেন।
একাধারে দুইটি যৌন নির্যাতন মামলায় জড়িয়ে পড়ায়, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই পেসারের আইপিএল ক্যারিয়ার ঘোর অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। দল থেকে এখনো কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি না এলেও, বিসিসিআই এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির অভ্যন্তরীণ তদন্ত দ্রুত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন