টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে ধুকছিল ইংল্যান্ড। এমন অবস্থায় রুখে দাঁড়ান সাবেক অধিনায়ক জো রুট। জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে দলের বিপর্যয়ে কাটিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩০তম শতক। এমন অবস্থায় ইনিংস ঘোষণা করে চমকে দেন ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকস। এতে অবাক হন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও। ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। পরে দিনের বাকি সময় ৪ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪ রান তুলে অজিরা।
এডজাবেস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা বজায় রাখে ইংলিশরা। ওভার প্রতি পাঁচের উপরে রান তুলে থাকে তারা। একই সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে। ইনিংসের শুরুতে বেন ডাকেটের উইকেট হারায় ইংলিশরা। ব্যক্তিগত ১২ রান করে জশ হ্যাজেলউডের শিকার হন এই ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটে ওলে পোপকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়ে বিপদমুক্ত করেন জ্যাক ক্রলি। দলীয় ৯২ রানে পোপকে (৩২) সাজঘরে ফেরান নাথান লায়ন। ক্রলির সঙ্গী হন অভিজ্ঞ রুট। তবে দলীয় ১২৪ রানে ৭৩ বলে ৭ চারে ৬১ রান করে আউট হন ক্রলি। এই ইংলিশ ওপেনারের বিদায়ের ১৭৬ রানে হ্যারি ব্রুক (৩২) ও অধিনায়ক স্টোকসের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
এরপর জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২১ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান রুট। ইংলিশ উইকেটকিপার ৭৮ বলে ৭৮ রান করে আউট হন। অবসর ভেঙে টেস্টে ফেরা মঈন আলিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি।
এরপর ক্যারিয়ারের ৩০তম টেস্ট শতক তুলে নেন রুট। শেষ পর্যন্ত ১১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৭ চার ও ৪ ছক্কার ঝকঝকে এই ইনিংসটি সাজান ডানহাতি এই ব্যাটার। আর ওলি রবিনসন ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লায়ন চারটি হ্যাজেলউড দুটি, বোলান্ড ও গ্রিন ১টি করে উইকেট নেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। দিন শেষে ডেভিড ওয়ার্নার ৮ ও ওসমান খাজা ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
মন্তব্য করুন