বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন তামিম এমন খবর চাউর হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার রাতেই। সেটাই সত্য হলো। বুধবার (১ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বিসিবি অফিসে এসে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তামিম ইকবাল। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। জানান, স্বেচ্ছাচারিতা আর নোংরামির প্রতিবাদ হিসেবেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তামিম বলেন. ‘আজ কারা কারা উইথড্র করেছে তাদের নামগুলা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে তারা সবাই তাদের জায়গা থেকে হেভিওয়েট। তাদের ভোট ব্যাংকও ইটস ভেরি স্ট্রং। এটা হলো আমাদের একটা ওয়ে অফ প্রটেস্ট যে, এই নোংরামির পার্ট আমরা থাকতে পারব না। এখানে ধরেন বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন সময় অনেক ধরনের কথা বলা হয়েছে, বাট আমার কাছে মনে হয়, এই নোংরামির সঙ্গে আমরা কোনো দিক থেকে কোনোভাবেই পার্ট রাখতে পারব না।’
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে, এটা স্পষ্টভাবে ক্লিয়ার সবার কাছে, কারা কারা কোন সময়ে, কারা কারা কোন ধরনের ইনভলমেন্ট এখানে রেখেছেন, কী ধরনের হস্তক্ষেপ হয়েছে, নিয়ম ইচ্ছামতো, সুবিধামতো চেঞ্জ করা হয়েছে। আর এর সঙ্গে কারা জড়িত, একদম স্পষ্টভাবে ক্লিয়ার। আমি এর চেয়ে বেশি আর কোনো কথা বলব না, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমি এটা নিয়ে অবশ্যই কথা বলব।’
তামিম জানান, আসন্ন নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। আমি একটা কথাই বলব যে, ক্রিকেট হেরে গেছে। আপনারা বলেন যে, ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে। তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।’
নিজের সেই বক্তব্যে সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি আমিসহ ১৪-১৫ জন। প্রত্যাহার করার কারণ খুবই স্পষ্ট। মনে হয় না এটা নিয়ে আমাকে বিস্তারিত বা ব্যাখ্যা করে কিছু বলার আছে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, নির্বাচনটা কীভাবে হচ্ছে বা কোনদিকে যাচ্ছে, এটা সবাই এখন দেখছে। যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন নয়। ক্রিকেটের সঙ্গে এই জিনিসটা কোনোদিক থেকেই মানায় না।’
মন্তব্য করুন