মিরপুরে আজকের সকালটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। প্রথম দুই ওয়ানডেতে যেখানে ব্যাট হাতে ধীরলয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেই দৃশ্যপট উল্টে দিলেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। দুজনেই দেখালেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট, গড়লেন রেকর্ড জুটি—তবু সেঞ্চুরির হাতছোঁয়া এল না কারও কাছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন এ দুই ওপেনার। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করেন তারা। এরপর ধীরে ধীরে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেন নিজেদের হাতে, গড়েন ১৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি—যা মিরপুরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ।
এর আগে এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি ছিল এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসের, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫০ রানের অংশীদারিত্ব।
সাইফ হাসান ছিলেন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক। পা মজবুত হতেই ছক্কা-চারে চেপে ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিন আক্রমণ। রোস্টন চেজের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে খেলেছেন ৭২ বলে ৮০ রানের ঝলমলে ইনিংস, যাতে ছিল ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা।
সাইফের বিদায়ের পরও থামেননি সৌম্য। বাঁহাতি এই ব্যাটার এক প্রান্ত ধরে রেখেই এগিয়ে চলছিলেন ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু আকিল হোসেনের অফ স্পিনে বড় শট খেলতে গিয়ে তিনিও ধরা পড়েন সীমান্তে। ৮৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংসটি শেষ হয় আক্ষেপে—মাত্র ৯ রানের জন্য মিস করলেন সেঞ্চুরি।
৩৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে তখন ২১১/২। দুজনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তরুণ তাওহীদ হৃদয়। যদিও তারা কিছুটা সতর্ক ব্যাটিংয়ে ইনিংস গুছিয়ে নিচ্ছিলেন, আগের ঝড়ের পর সেই ছন্দ কিছুটা মন্থরই হয়ে যায়।
প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানের বড় জয় ও দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে হারের পর এই ম্যাচটি কার্যত সিরিজ নির্ধারণী। জিতলেই সিরিজ বাংলাদেশের, হারলে হাতছাড়া।
মন্তব্য করুন