সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন অনেক আগেই শেষ তবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা বাচিয়ে রাখতে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আদায়ের জন্য শক্ত অস্ত্র পেল না বাংলাদেশের বোলাররা। দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন অনেক আগেই শেষ তবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা বাচিয়ে রাখতে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আদায়ের জন্য শক্ত অস্ত্র পেল না বাংলাদেশের বোলাররা। দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট নিয়ে ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানেই অলআউট হয়ে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। তার করা ৫৪ রান ছাড়াও লিটন ও সাকিবের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৪৫ ও ৪৩ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ওয়াসিম ও শাহিন সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম বলে তানজিদ তামিমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাহিন আফ্রিদি। টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যর্থ জুনিয়র তামিম ফিরেছেন শূন্য রানে, বাংলাদেশও প্রথম উইকেট হারায় কোনো রান না তুলতেই। তানজিদকে ফিরিয়ে ওডিআইতে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন আফ্রিদি।
খারাপ সময়ে থাকা শান্তও টেকেননি। শাহিন পরের ওভারে বল করতে এসেই ফেরান ৪ রান করা শান্তকে। শর্ট মিডউইকেটে উসামা মীর ডানদিকে ঝুঁকে দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। তৃতীয় ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৬ রান তুলতেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
৫ ওভারে ১০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিমকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। ব্যর্থ তিনিও। হারিস রউফের ইনসুইং তার ব্যাটে চুমু দিয়ে জমা হয়েছে উইকেটকিপার রিজওয়ানের গ্লাভসে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৬ ওভারে মাত্র ২৩! ৫ রানেই শেষ হয়েছে মুশফিকের ইনিংস।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। আস্থার প্রতিদানও দিচ্ছেন ব্যাটে। তাদের জুটিতেই ১১তম ওভার শেষে দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে টাইগাররা। এরপর ১৭তম ওভারে এই জুটি পূর্ণ করে ৫০ রান। ২১তম ওভারে শতরান পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। কিন্তু ঠিক এর পরেই বিদায় নেন লিটন।
লিটন না পারলেও অর্ধশতক ,হাঁকিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৭০ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ রান করে শাহিনের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে একটা ছক্কা মেরেই ওসামা মীরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়।
সাকিব-মিরাজ জুটি বেঁধে দলকে ২০০ এর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সাকিব বিদায় নেন ১৮৫ রানে। বিশ্বকাপে এসে শর্ট বলে সংগ্রাম করতে হচ্ছে সাকিবকে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও শর্ট বলে ঠিকঠাক খেলতে পারছিলেন না। তবে সময়ের সঙ্গে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন টাইগার দলপতি। কিন্তু অর্ধশতকের কাছাকাছি পৌঁছে হারিস রউফের শর্ট বলটা ঠিকমতো পুল করতে পারলেন না। সোজা ক্যাচ তুলে ধরা পড়লেন আগা সালমানের হাতে। ৬৪ বলে ৪ চারে ৪৩ রান করে আউট হন টাইগার দলপতি।
৪৪ ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের দারুণ গতির বল তুলে মারতে চেয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু বলে-ব্যাটে হয়নি। ৩০ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করেন মিরাজ। মিরাজের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি বাংলাদেশ। শেষ তিন ব্যাটারকেই ফেরান মোহাম্মদ ওয়াসিম।
মন্তব্য করুন