ভারতে অনুষ্ঠিত এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান ক্রিকেট দল নিয়ে অনেক উচ্চাশা ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটভক্তদের। তবে মূল আসরে হতাশই করেছে বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখা দল সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিয়েছে। বিশ্বকাপে এই ব্যর্থতার জের ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বৈশ্বিক আসরে ব্যর্থতার পর সবকিছু ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন পেস ও স্পিন বোলিং কোচ নিয়োগ দিল তারা।
পিসিবি আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দুই কোচের নিয়োগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তানের সাবেক পেসার উমর গুলকে দেওয়া হয়েছে পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব ও সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমলকে স্পিনিং বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুজনই পাকিস্তানের ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১২ এশিয়া কাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।
সাবেক এই দুই তারকার কাজ শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের মধ্য দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় ৩ টেস্ট ও নিউজিল্যান্ডে ৫টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান।
উমর গুল অবশ্য জাতীয় দলের কোচিংয়ের সাথে আগেও যুক্ত ছিলেন। আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার অভিজ্ঞতা আছে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করারও। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাজ করেছেন আফগানিস্তানের সঙ্গেও
পাকিস্তানের হয়ে ৪৭ টেস্ট, ১৩০ ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন উমর গুল। যেখানে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ১৬৩, ১৭৯ ও ৮৫টি। জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গুল বলেন, ‘চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের ম্যানেজমেন্ট কমিটি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তাতে আমি খুব আনন্দিত। সম্মানিত বোধ করছি পাকিস্তান ক্রিকেটে অবদান রাখার সুযোগ পেয়ে। আমার অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের বোলিং বিভাগের উন্নতির চেষ্টা করব।’
অন্যদিকে স্পিনার সাঈদ আজমল পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ৩৫ টেস্ট, ১১৩ ওয়ানডে ও ৬৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সব মিলিয়ে তার শিকার ৪৪৭ উইকেট। পিএসএলে ইসলামাবাদের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন আজমল।
জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে সত্যি সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ। পাকিস্তান জাতীয় দলের স্পিন বোলিংয়ের উন্নতিতে অবদান রাখার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি, আমার ক্যারিয়ার এবং কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা দলের স্পিন বোলিং আক্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে।’
অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্ট শুরু ১৪ ডিসেম্বর। পরের দুই টেস্ট ২৬ ডিসেম্বর ও ৩ জানুয়ারি শুরু হবে। আর নিউজিল্যান্ডে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান ১২, ১৪, ১৭, ১৯ ও ২১ জানুয়ারি।
মন্তব্য করুন