বাংলাদেশের যুবাদের সামনে সুযোগ ছিল সেমিতে যাওয়ার তার জন্য জিততে হতো শুধু ৩৮.১ ওভারে। কিন্তু নির্ধারিত সেই ওভার তো বাদ পুরো ম্যাচটাই বাংলাদেশের জেতা হলো না। সেমিফাইনালের অনেকটা কাছে গিয়েও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে যুবা টাইগারদের সুযোগ হাতছাড়া হলো। পাকিস্তানের ১৫৫ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে গিয়ে জুনিয়র টাইগাররা অলআউট হল ১৫০ রানে।
অথচ প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে অল্পতে আটকানোর পর স্বয়ং পাকিস্তানের খেলোয়াড়দেরও বিশ্বাস করার কথা নয় যে ম্যাচটি তারা জিতবে। তবে পাকিস্তানি পেসার উবাইদ শাহ সম্ভবত বিশ্বাস করেছিলেন তাই একাই শেষ করলেন টাইগারদের স্বপ্ন। তার বোলিং তোপেই উড়ে গেল বাংলাদেশের সেমিফাইনালের টিকিট। তার এবং আলী রেজার বোলিংয়ের কাছেই হেরেছে রাব্বি-জেমসরা।
যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করতে হলে জয়ের পাশাপাশি পাকিস্তানের রানরেটও টপকাতে হতো বাংলাদেশকে। বোলাররা পাকিস্তানকে ১৫৫ রানে আঁটকে দিয়ে নিজেদের কাজটা সেরেছিলেন। তবে ব্যাটারদের বাজে ব্যাটিং ও শট সিলেকশনে তা কোন কাজেই আসল না। পাক বোলার ও নিজেদের ভুলে দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারান জুনিয়র টাইগাররা।
সেখান থেকে অবশ্য অনেকটাই সামলে নেন শিহাব জেমস আর মাহফুজুর রাব্বি। তেবে এরপরের ছন্দপতন আর সামলানো যায়নি। শেষ উইকেটে দুই পেসার মারুফ মৃধা এবং রোহানাত দৌলা বর্ষন জয়ের অনেক কাছে নিয়ে যান। তবে তীর থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতেই ভাঙ্গে তাদের প্রতিরোধ। বাংলাদেশের হার ৫ রানে।
যদিও স্বল্প রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালো। জিশান আলম বাংলাদেশকে চারটি চারে দ্রুত সূচনাই এনে দিয়েছিলেন। তবে উবাইদ শাহের লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি আরেক ওপেনার শিবলিও ফেরেন একইভাবে।
আলী রাজার বলে উইকেট বিলিয়ে আসেন রিজওয়ান। ৫০ পেরুনোর আগেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট হারায়। আহরার আমিন এবং আরিফুল ইসলাম আশা দেখালে তাও ভাঙে দলীয় ৭৬ রানে।
এক রান পরেই একটি অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে মিডল অর্ডারের বড় ভরসা আরিফুলও ফেরত যান। শেখ পারভেজ জীবনও ২ রানের বেশি টিকতে পারেননি।
দলীয় ১২৩ রানে শিহাব আর ১২৪ রানে মাহফুজুর রাব্বির উইকেটই বাংলাদেশকে নিয়ে যায় খাদের কিনারায়। ১২৭ রানে ইমন আউট হলে বাংলাদেশের হার হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সেখান থেকেই বর্ষন আর মারুফের প্রতিরোধ। ২৩ রানের জুটি দেখাচ্ছিল জয়ের স্বপ্ন। যদিও একেবারে শেষে এসে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে যান মারুফ। ৫ রানের হারে সুপার সিক্স থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহানাত দৌলা বর্ষন এবং শেখ পারভেজ জীবনের অসাধারণ বোলিং নৈপুণয়ে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পাকিস্তানও একশ পেরুবার আগেই ৬ উইকেট হারায়। সেখান থেকে মিনহাস এবং আসফান্দের ব্যাটে ভর করে দেড়শ পার করে তারা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে হারাতে ওটাই হয়ে যায় যথেষ্ট।
মন্তব্য করুন