বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেইলি রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ শোকাহত। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন। আহত সবাই আছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়। পুরো দেশের মতো ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আর কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের দশম আসরের ফাইনাল। শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল। হৃদয়বিদারক এই ঘটনার শোক স্পর্শ করেছে ক্রিকেটারদের হৃদয়েও। প্রয়াতদের প্রতি শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা।
এদের মধ্যে রয়েছে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম লিখেছেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনায় বিদেহী আত্মাদের মাগফিরাত কামনা করি। আমাদের বদলানো উচিত, নয়তো কখনও পরিবর্তন হবে না।’
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি একটি ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে কিছু না লেখা না থাকলেও, পোস্ট করা ছবিতে লেখা রয়েছে, ‘আমরা শোকাহত, বেইলি রোড ট্র্যাজিডিতে হতাহতদের প্রতি রইল সহানুভুতি এবং প্র্যার্থনা। আর পরিবারের জন্য রইল সমবেদনা।
এদিকে বাংলাদেশের উইকেটকিপার-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘আসসালামুআলাইকুম, সবাইকে জুম্মা মোবারক। মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জীবন হারানোদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।’
জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লিখেছেন, ‘ঢাকার বেইলি রোডের একটি ভবনে ঘটা মর্মান্তিক অগ্নি দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং কঠিন সময়ের মধ্যে যাওয়া তাদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। সঙ্গে ভয়ংকর এই অগ্নিকাণ্ডে আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকা সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
শোকবার্তায় পেসার তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘বেইলি রোড ট্র্যাজেডির খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বিদেহী আত্মার প্রতি আমার প্রার্থনা। আর যারা আহত হয়েছেন তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের সাততলা একটি ভবনে আগুন লাগে। সেই ভবনে কাচ্চি ভাই নামের খাবারের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যেতেন।
মন্তব্য করুন