ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে বিতর্ক এখনো চলমান। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মিরপুরে মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে। ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩১৮ রান করে মোহামেডান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের ৩৪তম ওভারে স্পিনার নাঈম হাসানের বলে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত ক্যাচ লুখে নেন আবু হায়দার রনি।
এ সময় বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলারের পা বাউন্ডারি লাইনের দড়ি ছুঁয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কিন্তু ছক্কা নাকি আউট, এই সিদ্ধান্ত নিতে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ১০ মিনিট। অধিনায়ক, কোচসহ ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেন প্রাইম ব্যাংকের সব ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত আউট ঘোষণা করা হয় মুশফিক।
এর রেশ ছিল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ৩৩ রানে হেরে যায় প্রাইম ব্যাংক। প্রতিবাদে রীতি অনুযায়ী মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি তামিম-মুশফিকরা। দুই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক তামিমকে।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মোহামেডানের রনি তালুকদার গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা তো মাঠেই ছিলাম। বাকিটা প্রাইম ব্যাংকের ব্যাপার। সেটা তো রনিই (আবু হায়দার রনি) ভালো জানে। কারণ, রনিই ক্যাচটা ধরেছে। রনির ওপরেই পুরোটা নির্ভর করবে। ও যেই সিদ্ধান্তটা দেবে সেটার ওপরেই…কারণ এখানে তো ওভাবে ক্যামেরা ছিল না। থার্ড আম্পায়ার যদি থাকত, তাহলে সেটা ভালোভাবে দেখতে পারত। এখন এটা খেলোয়াড়দের ওপরই যায়।’
প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান, ‘প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ বিসিবির চ্যানেলে যেটা টেলিকাস্ট (সম্প্রচার) হচ্ছে, এটা টেলিভিশন টেলিকাস্ট নয়। এসব ক্ষেত্রে ফিল্ডার কী বলছেন, সেটা শোনা হয়। ফিল্ডারের সঙ্গে কথা বলে আম্পায়ার যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত।’
তবে এরপরও শেষ হয়নি সেই ক্যাচের বিতর্ক। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবু হায়দার রনির ক্যাচ নেওয়ার ছবিতে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন মুশফিক। বাউন্ডারি পা ছুঁয়েছে এমন জায়গায় লাল বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত করে ক্যাপশনে লিখেন, ‘মাশা আল্লাহ।’ একই সঙ্গে দেন তিনটি স্যালুট ইমোজিও দেন।
প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে শিরোপা জয়ের খুবই কাছে রয়েছে আবাহনী লিমিটেড। বৃহস্পতিবার প্রাইম ব্যাংকের কাছে মোহমেডান হারলে লিগের ২২তম শিরোপা জয়ের উৎসব করতে পারতো আবাহনী।
মন্তব্য করুন