টর্নেডোতে লন্ডভন্ড টেক্সাসের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম। এতে বাতিল হয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের আইসিসির অফিসিয়াল প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে ঠিকই ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলেছে টাইগারদের গ্রুপের দুই প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস-শ্রীলঙ্কা।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর ফ্লোরিডায় হওয়া সেই ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন লঙ্কানদের বিপক্ষে ২০ রানের জয় পেয়েছে ডাচরা। যা বাংলাদেশ দলের জন্য একপ্রকার সর্তকবার্তা।
প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮১ রান করে নেদারল্যান্ডস। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ-ডিতে রয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে নেপাল, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
ডালাসে ৮ জুন লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। ১০ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ প্রোটিয়ারা। এরপর বাংলাদেশ যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
নেপাল ও নেদারল্যান্ডস, শক্তির বিচারের বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ প্রতিপক্ষ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ লঙ্কানদের এভাবে রুখে দেওয়া, টাইগারদের জন্য অনেকটা ‘ওয়েক আপ কলে’র মতো। তবে টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান শান্তদের পক্ষে কথা বলছে। ডাচদের বিপক্ষে ৪ টি-টোয়েন্টি ৩টিতে জয় বাংলাদেশের।
তবে গত বছর ভারতের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে যায় টাইগাররা। এ ছাড়া ডাচদের বিপক্ষে খেলা ৩ ওয়ানডের ২টিতে হেরেছে বাংলাদেশ দল। এ ছাড়া র্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে শান্তবাহিনী।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের বর্তমান পারফরম্যান্স এবং প্রস্তুতি ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ডাচদের সাফল্য, ভাবনায় ফেলেছে সমর্থকদের। সঙ্গে তৈরি হয়েছে একটি প্রশ্ন, ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারলেও এবার ডাচদের বিপক্ষে জয় পারবে তো টাইগাররা?
মন্তব্য করুন