বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে সবার আগে বিপর্যস্ত হয়েছিল ইউরোপের দেশ ইতালি। সেই সময়টায় মৃত্যুতেও সবার শীর্ষে ছিল দেশটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত ও মারা যায়। লকডাউনে স্থবির হয়ে যায় পুরো দেশ। তখন বাকি সবকিছুর মতো থমকে গিয়েছিল ইতালিয়ান ফুটবলও।
করোনা মহামারিতে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এবং পেশাদার ফুটবল ক্লাবগুলো সর্বমোট ৩৬০ কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি ৪৩ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা লোকসানের সম্মুক্ষীণ হয়েছে।
২০১৯ থেকে ২০২২- মহামারির সময়ে ইতালির পেশাদার ফুটবল ক্লাবগুলো সব মিলিয়ে খুইয়েছে ৩৬০ কোটি ইউরো; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪৩ হাজার ২৭৮ কোটি টাকার বেশি। এক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের ‘রিপোর্টক্যালসিও’ বা বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি)।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে ২০১৯ থেকে ২০২২ ইতালিয়ান ফুটবলের শীর্ষ তিন লিগ (সিরি ‘আ’, সিরি ‘বি’ ও সিরি ‘সি’) ক্লাবগুলো প্রতিবছর গড়ে ১২০ কোটি ইউরো বা ১৪ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা আয় বঞ্চিত হয়েছে।
২০২১-২২ মৌসুমেই ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের ক্ষতি হয়েছে ১৪০ কোটি ইউরো বা ১৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর্থিক ক্ষতি হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে। একই মৌসুমে সংস্থাটির ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৬০ কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি ৬৭ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। যা এক বছরের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
করোনার টিকা আবিষ্কারের পর অন্তত দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরে আবারও স্টেডিয়ামে দর্শক ফেরে। ইতালিয়ান ২০২১-২২ ফুটবল মৌসুমে টিকিট বিক্রি থেকে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ইউরো বা ৩ হাজার ৫৩ কোটি টাকা উপার্জন করেছিল ইতালিয়ান পেশাদার ক্লাবগুলো। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ মৌসুমে টিকিট বিক্রি থেকে ৩৪ কোটি ১০ লাখ ইউরো বা ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা আয় করে ইতালিয়ান পেশাদার ক্লাবগুলো।
‘রিপোর্টক্যালসিও’ তৈরিতে থাকা কর্মকর্তারা ইতালিয়ান ফুটবলের এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। কারণ ২০৩২ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ তুরস্কের সঙ্গে আয়োজন করতে আগ্রহী ইতালি। যা ‘অনন্য সুযোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন কর্মকর্তরা।
২০৩২ সালের মধ্যে পুরোনো স্টেডিয়ামগুলো আধুনিকায়ন ও সংস্কার করবে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। সেটা বাস্তবায়ন হলে দর্শক বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে টিকিট বিক্রি থেকেও আয় বাড়বে সংস্থাটির।
মন্তব্য করুন