উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রে শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আবেগময় কান্না নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নিয়েছেন পতুর্গালের লেফট ব্যাক নুনো মেন্ডেসও।
ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন এই বামপায়ের ডিফেন্ডার। নিজের করা প্রথম গোলের পাশাপাশি বার্সেলোনার বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামালকে কার্যত খেলার বাইরে রেখেই পর্তুগিজ রক্ষণে দৃঢ় প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান মেন্ডেস।
‘ইয়ামালের সঙ্গে এই মুখোমুখি লড়াইটা ছিল অনেকগুলোর একটি,’ ম্যাচ শেষে আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন মেন্ডেস। ‘আমি অনেক টেকনিক্যাল খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলেছি। তবে আজ আমি ইয়ামালকে নিষ্ক্রিয় করেছি, তার সেরা কাজগুলো সে করতে পারেনি। এতে দল উপকৃত হয়েছে, আর আমি খুশি যে শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখতে পেরেছি।’
এই পারফরম্যান্সের পর মেন্ডেস ব্যালন ডি’অর আলোচনায় টেনে আনলেন পিএসজি সতীর্থ ওসমান ডেম্বেলেকে। তার মতে, ডেম্বেলের দুর্দান্ত মৌসুম তাকে এবার ব্যালন ডি’অরের জন্য এগিয়ে রেখেছে ইয়ামালের চেয়ে।
‘ডেম্বেলের জন্য আমি খুশি। বার্সেলোনায় সে অনেক ইনজুরিতে ভুগেছে, কিন্তু পিএসজিতে এসে নিজেকে প্রমাণ করেছে। সে অসাধারণ খেলোয়াড়, এবং একজন ভালো মানুষ। আমি চাই সে ব্যালন ডি’অর জিতুক। আমরা তার পাশে থাকব।’
তবে ব্যক্তিগত অর্জনের বাইরেও দলগত সাফল্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন এই ২২ বছর বয়সী ফুটবলার। তিনি মনে করেন, ধারাবাহিকতা, কঠোর পরিশ্রম ও কোচদের সহায়তায় তিনি নিজেকে এই অবস্থানে আনতে পেরেছেন।
এদিকে ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করা ও পরে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়লেও রোনালদোর উপস্থিতি ও নেতৃত্বকে সবার ওপরে রাখছেন মেন্ডেস। ‘ক্রিশ্চিয়ানোর জন্য আমরা খুবই খুশি,’ বলেন তিনি।
‘সে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও আমাদের গাইড করে, উপদেশ দেয়। আমাদের দলে ওর দরকার। তার জয়ের মানসিকতা ও পেশাদারিত্ব আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’
৪০ বছর বয়সেও রোনালদোর জাতীয় দলের প্রতি এই নিষ্ঠা এবং তরুণদের মাঝে তার প্রভাব যেন পর্তুগালের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক। আর মেন্ডেসের মতো তরুণরা দেখিয়ে দিচ্ছেন, নতুন প্রজন্মও প্রস্তুত নিজেদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে।
মন্তব্য করুন