দিয়োগো জোতার মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে ফুটবল বিশ্ব। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান পর্তুগিজ এই তারকা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা। শনিবার সকালে পর্তুগালের গন্ডোমারের এক গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের শেষকৃত্য। সেখানে লিভারপুল ও পর্তুগালের অনেক সতীর্থ উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি জাতীয় দলের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে।
রোনালদোর না থাকায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। তবে এর পেছনে লুকিয়ে আছে এক মানবিক কারণ। জোতার মৃত্যুর পর সামাজিক মাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় রোনালদো লিখেছিলেন,
‘বিশ্বাস হচ্ছে না। আমরা কিছুদিন আগেই একসাথে জাতীয় দলে ছিলাম, তুমি সদ্য বিয়ে করেছ। তোমার পরিবার, স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য রইল আমার সমবেদনা এবং সব শক্তি। শান্তিতে ঘুমাও, জোতা এবং আন্দ্রে। তোমাদের আমরা কখনও ভুলব না।’
‘দ্য মিরর’-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোনালদো ইচ্ছে করেই শেষকৃত্যে অংশ নেননি। কারণ, তিনি চাইছিলেন না তার উপস্থিতি পুরো আয়োজনের মূল ফোকাস কেড়ে নিক। ছোট শহর গন্ডোমারে তার মতো বিশ্বতারকার উপস্থিতি মানুষের ভিড় ও গণমাধ্যমের নজর বাড়িয়ে দিতে পারত, যা শোকাহত পরিবারের জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করত।
জোতার শেষ ম্যাচে রোনালদোর সঙ্গে দেখা হয়েছিল জুনের ৮ তারিখে, যখন তারা একসাথে পর্তুগালের হয়ে নেশন্স লিগ জিতেছিলেন। সেটিই ছিল তাদের শেষ দেখা।
যদিও লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক, অ্যান্ডি রবার্টসন, পর্তুগালের ব্রুনো ফার্নান্দেজ, রুবেন নেভেসসহ অনেক সতীর্থ উপস্থিত ছিলেন, রোনালদো দূরে থেকেই তার প্রিয় সতীর্থের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
জোতার মৃত্যুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে করেছিলেন রুট কার্দোসোর সঙ্গে। সেই সুখের মুহূর্ত হঠাৎ করেই পরিণত হয় গভীর শোকে। লিভারপুল ক্লাব ঘোষণা দিয়েছে, জোতার পরিবারের পাশে থাকতে তার চুক্তির বাকি অর্থ পুরোপুরি পরিশোধ করা হবে।
রোনালদোর এই সিদ্ধান্তে ফুটে উঠেছে সতীর্থের প্রতি তার নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা। শেষকৃত্যে না গিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, সম্পর্কের মর্যাদা কোনো প্রচারের চেয়ে বড়।
মন্তব্য করুন