একদিকে নতুন তারকার আগমন নিয়ে গুঞ্জন, অন্যদিকে মাঠে একেবারে লজ্জার হার। বুধবার যেন দুই চেহারার দিন ছিল ইন্টার মায়ামির জন্য।
দুপুরে শোনা গেল, লিওনেল মেসির সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের একজন, রদ্রিগো দে পল, মায়ামিতে আসার পথে। শুধু বন্ধু নন, আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির ‘বডিগার্ড’ হিসেবেও পরিচিত এই মিডফিল্ডার। মাঠে তার আগ্রাসী খেলা যেমন প্রতিপক্ষকে ভয় দেখায়, তেমনি সতীর্থদের দেয় সাহস। এই দে পলকে দলে টানতে নিয়মকানুনের ধাঁধা ভালোভাবেই মেটাচ্ছে মায়ামি। তবে তার আগমন নিশ্চিত হবার আগেই ঘটে গেল কিছুটা বিপরীত এক দৃশ্য।
ভোরে সিনসিনাটির মাঠে ৩-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হলো মায়ামি। গত সাত ম্যাচে ১১ গোল করা মেসিও এবার থেমে গেলেন। ম্যাচজুড়ে কয়েকবার চেষ্টা করলেও গোলের দেখা মেলেনি। দূরপাল্লার এক বারোনো শট ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারেননি।
ম্যাচের ২০ মিনিটেই লুকা ওরেল্লানোর পাস থেকে গোল করে সিনসিনাটিকে এগিয়ে দেন জেরার্ডো ভালেনজুয়েলা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হতেই মায়ামির রক্ষণভাগ আবারও ভেঙে পড়ে। এবার গোলদাতা ব্রাজিলিয়ান তারকা ইভান্ডার, যিনি সার্জিও বুসকেটসকে সরিয়ে নিজের জায়গা বানিয়ে নেন এবং জালে পাঠিয়ে দেন বল।
৭০ মিনিটে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-০। মূল গোলরক্ষক অস্কার উস্তারির চোটের পর বদলি হয়ে আসা রোকো রিওস নোভোর ভুলে ফের সুযোগ পান ইভান্ডার, এবারও তিনি ভুল করেননি।
ম্যাচ শেষে স্পষ্ট, এই দলের মাঝমাঠ ও রক্ষণে অনেক ঘাটতি রয়েছে — যেটা হয়তো দে পলের মতো একজন খেলোয়াড় পূরণ করতে পারেন।
আগামী সপ্তাহেই নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে ম্যাচ। তার আগেই এই হার ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে হবে মেসি ও মায়ামিকে। আর তারও আগে হয়তো নিশ্চিত হবে দে পলের আগমন — যে খবরে ভরসা রাখছে ক্লাব ও সমর্থকরা।
মন্তব্য করুন