

দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস। ২০৩০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব আর আগের মতো থাকছে না—এবার আসতে পারে সম্পূর্ণ নতুন ফরম্যাট, যেখানে খেলেই বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো দলগুলোর। আর আশ্চর্যের বিষয় হলো, আয়োজক হিসেবে বিশ্বকাপের আগে কোয়ালিফাই করা আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও পরাগুয়েও এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে!
২০৩০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বকে আরও আয়মুখী এবং প্রতিযোগিতামূলক করতে কনমেবল বিবেচনা করছে এক নতুন টুর্নামেন্ট ফরম্যাট—দক্ষিণ আমেরিকার নিজস্ব নেশনস লিগ। এটি কেবল বাছাইপর্ব হিসেবেই কাজ করবে না, বরং আনুষ্ঠানিক একটি শিরোপা হিসেবেও গণ্য হবে। বিজয়ী দল পাবে একটি ট্রফি, রেকর্ডে যুক্ত হবে একটি নতুন ‘স্টার’, আর সঙ্গে থাকবে আকর্ষণীয় প্রাইজমানিও।
কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দোমিঙ্গেজের নেতৃত্বে এই প্রাথমিক পরিকল্পনা বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য—কোনো দেশ যেন বাছাইপর্বে ম্যাচ কমে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে না পড়ে। সাধারণত প্রতিটি দল ৯টি করে হোম ম্যাচ খেলে, যা সম্প্রচারস্বত্ব থেকে বিপুল রাজস্ব এনে দেয়। কিন্তু ২০৩০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজক হিসেবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও পরাগুয়ে আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বাছাইপর্বে ৩টি দল কমে যেত।
এই ঘাটতি পূরণ করতেই কনমেবল চাইছে নতুন নেশনস কাপ আয়োজন করতে, যাতে সবাই সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলতে পারে এবং রাজস্বে কোনো ক্ষতি না হয়।
এখনও প্রাইজমানি নির্ধারণ হয়নি, তবে নিশ্চিত করা হয়েছে—এই টুর্নামেন্টটি হবে আনুষ্ঠানিক, এবং বিজয়ী দল একটি ট্রফি অর্জন করবে, যা আন্তর্জাতিক রেকর্ডে যুক্ত হবে।
নতুন এই মডেলটি এসেছে নারী ফুটবলের ২০২৭ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অনুপ্রেরণা থেকে, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকায় একটি লীগের মতো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দুই দল সরাসরি বিশ্বকাপে যায়, আর তৃতীয়-চতুর্থ দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে।
কনমেবলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের পর। তবে এখন থেকেই ফুটবলবিশ্বে এই নতুন নেশনস কাপ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
মন্তব্য করুন