

কাতারের নায়ক হয়ে ওঠা এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্তিনেজ যেন আবারও সেই একই উত্তেজনায় ডুবে আছেন। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো–কানাডায় হতে যাওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র সামনে। আর আর্জেন্টিনার এই গোলরক্ষক বলে দিচ্ছেন—তার শরীরে নাকি এখনই আগের কোনো আসরের চেয়ে বেশি শিহরণ বইছে। কেন? একটাই কারণ, আবার দেশের জার্সি গায়ে চাপানোর সেই অসাধারণ অনুভূতি।
অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক ও আর্জেন্টিনার ‘অপরিহার্য নম্বর ওয়ান’ দিবু মার্তিনেজ জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে দলকে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ের জন্য তিনি এখনই মানসিকভাবে প্রস্তুত। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে নিজের উচ্ছ্বাস লুকাননি ৩৩ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
দিবুর ভাষায়, “বিশ্বকাপে যারা খেলেছে, তাদের সবাইয়েরই ভেতরে একটা অদ্ভুত অনুভূতি থাকে। সেটা বোঝানো যায় না। কিন্তু এবারটা আগেরবারের চেয়েও আমাকে বেশি উত্তেজিত করছে।”
২০২২ সালের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর পেনাল্টি সেভ থেকে শুরু করে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য—মার্তিনেজ ইতোমধ্যে আর্জেন্টাইন ফুটবল ইতিহাসে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করেছেন। পরে ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালেও কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-০ জয়ে পাঁচটি সেভ করে দলের নায়ক ছিলেন তিনিই।
জাতীয় দলের জার্সির ব্যাপারে যেন দিবুর আলাদা আবেগ। তিনি বলেন, “আমি যখন আর্জেন্টিনার হয়ে খেলি, তখন মনে হয় বলটাই যেন গোলমুখে ঢুকতে চায় না। পুরো দেশ, পুরো পরিবার তখন আমার পাশে থাকে।”
এ মৌসুমে ভিলার হয়ে ১১ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে চারটি ক্লিনশিট রেখেছেন তিনি। ব্যস্ত সূচি, বিশ্রামহীন ম্যাচ—এসব নিয়ে দিবুর কোনো ভয় নেই। নিজের শারীরিক সক্ষমতা নিয়েও আত্মবিশ্বাসী এই গোলরক্ষক।
“আমার শারীরিক সক্ষমতা আলাদা রকমের,” বলেন তিনি। “দুই দিন পরপর খেললেও সমস্যা নেই। মৌসুমে ৬০ ম্যাচ খেলতে হয়, কিন্তু মাথায় রাখতে হয়—শেষে একটা বিশ্বকাপ অপেক্ষা করছে। তা না হলে সেরা ফর্ম বজায় রাখা যায় না।”
আর্জেন্টিনা যখন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনো দিবার লক্ষ্য একটাই—আরও একবার দেশকে সর্বোচ্চ সাফল্যের স্বাদ দেওয়া। ফুটবল বিশ্ব এখন অপেক্ষা করছে, কাতারের নায়কের গ্লাভস আবারও কি আর্জেন্টিনার ভাগ্য বদলাতে পারে?
মন্তব্য করুন