স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ০৪:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাফুফেতে মন্ত্রণালয়ের ২০ কোটি টাকা গায়েব

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) দেওয়া সরকারের ২০ কোটি টাকা গায়েবের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বছর না ঘুরতেই লংকা-বাংলা ফাইন্যান্সে রাখা স্থায়ী আমানতটি ভেঙে অর্থ তুলে নিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।

সারা দেশে ফুটবল উন্নয়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাফুফেকে ২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। সে সময় বলা হয়েছিল সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে না। বরং এই অর্থ বিনিয়োগ করে তা থেকে অর্জিত মুনাফা ফুটবলের নানাবিধ উন্নয়নের কাজে ব্যয় করতে হবে।

দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ২০ কোটি টাকার পুরোটাই গায়েব করে দিয়েছে বাফুফে। এমনকি এই অর্থের তথ্য রাখা হয়নি অডিট রিপোর্টেও।

১০ কোটি টাকার মধ্যে ৬৪ জেলার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ জেলা ফুটবল লিগ আয়োজনের জন্য পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ, প্রিমিয়ার লিগের ১৩ ক্লাবের জন্য ৬৫ লাখ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের জন্য ৫৫ লাখ, প্রথম বিভাগ ফুটবলে ৩৯ লাখ, দ্বিতীয় বিভাগে ২৬ লাখ এবং তৃতীয় বিভাগের জন্য সাড়ে ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছিল। এ ছাড়া বাফুফে ফুটবল একাডেমির জন্য ৩০ লাখ, জাতীয় দলের জন্য ৫৫ লাখ, নারী ফুটবল দলের জন্য ১০ লাখ এবং শেরেবাংলা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এক কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।

এই বিবরণীতে স্বাক্ষর করেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নিষিদ্ধ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য হলো, সরকারের রাজস্ব বিভাগে আয়কর বাবদ ৫০ লাখ টাকা জমা দেওয়ার তথ্য হিসাব বিবরণীতে রয়েছে। অথচ ট্যাক্স বাবদ একটি টাকাও জমা দেয়নি বাফুফে।

সরকারের বাজেটে অর্থ এক খাত থেকে অন্য খাতে খরচের সুযোগ নেই। শুধু তাই নয়, খরচের বিল ভাউচারের পাকা রসিদ জমা না দেওয়া পর্যন্ত বাকি অর্থ ছাড় করা যাবে না। ক্রীড়া পরিষদ এ সিদ্ধান্তের কথা বাফুফেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর লংকা-বাংলা ফাইন্যান্সে ১০ কোটি টাকার মধ্যে এক বছর মেয়াদি ৯ কোটি টাকা স্থায়ী আমানত রাখা হয়। বাকি এক কোটি টাকা খরচ দেখায় বাফুফে। বছর ঘুরতেই ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ স্থায়ী আমানত ভেঙে ফেলে বাফুফে। শুধু তাই নয়, নয় কোটি টাকার আমানতের বিপরীতে কয়েক দফা ঋণ নেয় তারা। ফলে মেয়াদ শেষে লভ্যাংশ দূরে থাক, মূল টাকা পাওয়াই দায় হয়ে পড়েছিল বাফুফের।

এসব অনিয়মের পরও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বাফুফে গত বছর ৫৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প বানিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জমা দিয়েছিল। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সেই প্রকল্প পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু বাফুফের নয়ছয়ের প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের সম্মতি দেয়নি মন্ত্রণালয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে আরও একটি সেশন বাংলাদেশের

ফের ধানুশের নায়িকা হতে চলেছেন সাই পল্লবী

যে ১০ সহজাত অনুভূতি আপনার কখনো উপেক্ষা করা উচিত নয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব : আমীর খসরু

ভারসাম্যহীন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে

কেওক্রাডংয়ে পর্যটকদের নিয়ে উল্টে গেল চাঁদের গাড়ি

সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ে সৌদি-আমেরিকা

বিপিএলে আসছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব আখতার!

৩ হাজার টাকার রঙিন মাছে সাগর এখন লাখপতি

মূসক আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ

১০

তিন তক্ষকসহ পাচারকারী গ্রেপ্তার

১১

পুলিশের ওপর হামলা চললে ঘরবাড়ি নিজেদেরই পাহারা দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

১২

ঢাকার সিনেমায় শয্যাদৃশ্য নিয়ে তুমুল বিতর্কে পড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী

১৩

অ্যাজমার কারণ ও লক্ষণ, কীভাবে ভালো থাকবেন

১৪

প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

১৫

বেতন-ভাতা প্রণয়নে পে কমিশনের নতুন পদক্ষেপ

১৬

মিস্টার টেস্ট ক্রিকেট অব বাংলাদেশ!

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

১৮

সেমিফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

১৯

মামদানির সঙ্গে শুক্রবার বসবেন ট্রাম্প

২০
X