আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জুন মাসের বেতনসহ ঈদ বোনাস পেয়েছেন। অথচ এখনো ঈদুল আজহার বেতন-বোনাস ভাগ্যে জোটেনি চুক্তিবদ্ধ কোচ-খেলোয়াড়দের।
তাদের চুক্তিতে রাখাই হয়নি উৎসব বোনাস। প্রতি বছর এই চুক্তির কারণে কোচদের বঞ্চিত তাদের প্রাপ্য বোনাস থেকে। তাই বাফুফের বেতনভুক্ত কোচদের দুটি ঈদ এলেই মুখের হাসি উধাও হয়ে যায়।
২০২৩ ঈদুল ফিতরের আগে কোচদের বোনাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাফুফের শীর্ষ কর্তারা। তবে সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বোনাস পাবে না জেনে চলতি জুনের বেতনটা আগাম দাবি জানিয়েছিল চুক্তিবদ্ধ কোচরা। সেটিও দেয়নি বাফুফে।
আগামী আগস্টে নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের। সেই ম্যাচের জন্য ঈদের মধ্যেও চলমান আছে সাবিনাদের আবাসিক ক্যাম্প। এখনো তারা কোনো ধরনের বোনাস এবং প্রাপ্য সম্মানী পায়নি ফুটবলাররা।
জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ফুটবলারদের তিন শ্রেণিতে সম্মানী দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ ২০ হাজার এবং সর্বনিম্ন সম্মানী ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ১০ হাজার টাকা করে পান সবথেকে বেশি ফুটবলার। এই টাকাও ঈদের আগে মেয়েদের হাতে তুলে দেয়নি বাফুফে।
একজন সিনিয়র ফুটবলার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঈদের আগে জুন মাসের বেতনটাও হাতে পেলাম না। অথচ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার অধিকার আমাদের নেই। বেতন-বোনাস দূরে থাক, ঈদে মেয়েদের পোশাকও উপহার হিসেবে দেওয়া হয় না। কমপক্ষে ৫০ বার অনুরোধ করেছি বেতন বাড়ানোর, কেউ কানে তুলে না আমাদের কথা।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কোচ বলেন, ‘গত ঈদের আগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিজস্ব তহবিল থেকে বোনাস দেওয়া হবে দুইটা। কিন্তু এবারও পূরণ হলো না প্রতিশ্রুতি। অথচ কোচরা বাদে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে সুইপার পর্যন্ত সবাই জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস আগাম পেয়েছেন।’
বাফুফের দেওয়া তথ্যমতে, তাদের আওতায় কোচ আছেন ২২ জন। এই কোচদের বেতন দেয় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্স (এএফসি)।
মন্তব্য করুন