সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব নেই আগে থেকেই। এবারের দাবা প্রিমিয়ার লিগে ছিল না বিমান বাংলাদেশও। বাংলাদেশ পুলিশ থেকেও যেন ছিল না—সাদামাটা দল নিয়ে খেলেছে দলটি। সবকিছুর যোগফলে নিরুত্তাপ ছিল এবারের দাবার লিগ! উত্তাপহীন এ লিগের শিরোপা জিতল তিতাস ক্লাব।
৯ রাউন্ডের এ লিগে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিতাস ক্লাব। মানহাস ক্যাসল ও লিওনাইন চেস ক্লাবের সংগ্রহ ছিল সমান ১৪ পয়েন্ট করে। গেম পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় রানার্সআপ হয়েছে মানহাস ক্যাসল। পরের স্থানগুলোতে ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী (৪), স্পোর্টস বাংলা (৫), উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাব (৬), দিপালী মেমোরিয়াল চেস ক্লাব (৭), জনতা ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (৮), খেলাঘর দাবা সংঘ (৯) ও বাংলাদেশ পুলিশ (১০)।
১৯৯৭ সাল থেকে ঘরোয়া দাবা লিগে খেলছে তিতাস ক্লাব। ২০০০ সালে তৎকালীন ঘরোয়া শীর্ষ আসর প্রথম বিভাগ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ক্লাবটি। ২০১১ সালের পর থেকে দাবায় শুরু হয় প্রিমিয়ার লিগ। দুই যুগ বিরতির পর আবার ঘরোয়া শীর্ষ লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস ক্লাব। সদ্য সমাপ্ত লিগে তিতাস ক্লাবের খেলোয়াড় তালিকায় নাম থাকলেও সাইফ উদ্দিন লাভলুকে বোর্ডের লড়াইয়ে দেখা যায়নি। গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ, ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া, আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান, ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ ও ভারতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার পানিসার বেদান্ত ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। ৯ রাউন্ডে ঘুরে ফিরে পাঁচ দাবাড়ুই খেলেছেন।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় লিগ শিরোপা জিতলেও পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। প্রয়াত বাবা গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানকে এখনো প্রচণ্ড মিস করেন এ দাবাড়ু। শিরোপা জয়ের পর তাহসিন তাজওয়ার জিয়া বলছিলেন, ‘এটি আমার দ্বিতীয় লিগ শিরোপা। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাতে ভালো লাগছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব ভালো খেলতে পারিনি। বাবা গত লিগে খেলেছেন, এবার নেই—এটা ভেবে খুব খারাপ লাগছে।’
মন্তব্য করুন