ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। কোনো মুসলিম দেশ সরাসরি গাজাবাসীর পক্ষে যুদ্ধে না জড়ালেও বিভিন্ন সময় জোরালো প্রতিবাদ করেছে তারা। শুধু মুসলিম দেশ নয়, অমুসলিম অনেক দেশ থেকেই গাজার পক্ষে জোরালো আওয়াজ তুলেছে।
যুদ্ধ চালিয়ে নিতে ইসরায়েল যেন আর কোনো অস্ত্র না পায় সেজন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দর কর্মীরা তৎপর হয়েছেন। ইউরোপের কোনো বন্দর ব্যবহার করে কোনোভাবেই ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাতে দেবেন না তারা। গত ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেইয়ের বন্দর কর্মীরা ইসরায়েলের জন্য বন্দরে আনা অস্ত্রের উপকরণ জাহাজে লোড করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ওই জাহাজ অস্ত্র উপকরণ বোঝাই না করেই চলে যেতে বাধ্য হয়।
কিন্তু ইতালির জেনোয়া বন্দরের এবার ঘটল এক অন্য রকম ঘটনা। দখলদার ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র নিয়ে আসা সৌদি আরবের একটি জাহাজ আটকে দিয়েছেন বন্দরের কর্মীরা। একটি মুসলিম দেশের জাহাজে আসছে গাজায় গণহত্যার অস্ত্র। আর সেই অস্ত্র আটকে দিয়েছে একটি অমুসলিম দেশের বন্দর কর্মীরা।
জানা যায়, গেল শুক্রবার বাহরি ইয়ানবু নামে সৌদির এ জাহাজটি জেনোয়া বন্দরে আসে। জাহাজটি জেনোয়া থেকে অস্ত্র বোঝাইয়ের কথা ছিল। যেগুলো আবুধাবিতে নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু বন্দরকর্মীরা জানতে পারেন, এ জাহাজে আগে থেকেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে। যেগুলো দখলদার ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে।
জাহাজটিতে অনেকটা জোরপূর্বক প্রবেশ করেন বন্দরের ৪০ কর্মী। তখন তারা ইসরায়েলের জন্য আনা অস্ত্রের খোঁজ পান। ইতালির জেনোয়াতে আসার আগে জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে গিয়েছিল। ধারণা করা হয় সেখান থেকেই এসছে এসব অস্ত্র। জেনোয়ার অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়নের জোসে নিভোই বলেন, তারা যুদ্ধের জন্য কাজ করেন না। সৌদির জাহাজের এই অস্ত্র চোরাচালান ধরা পড়ার পর অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে জেনোয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি স্থায়ী পর্যবেক্ষক দল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগেও ২০১৯ সালে জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা একইভাবে অস্ত্রবাহী একটি জাহাজ আটকে দিয়েছিলেন।
একটি মুসলিম দেশের জাহাজে কীভাবে ইসরায়েলের অস্ত্র উঠে—সেটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তারা বলছেন, সৌদির জাহাজের এই অস্ত্র তাদের হতবাক করেছে।
মন্তব্য করুন