দাপটের সঙ্গে তারা নিজেদের দেশ শাসন করেছেন। এদের কেউ রাশভারী শাসক। কেউবা ছিলেন একনায়ক। আবার কারও দোর্দণ্ড প্রতাপে কাঁপত সবাই। সেই শাসকদের ‘নেশা’র কথা কি কখনো শুনেছেন? কোনো একটা জিনিসের প্রতি তাদের ‘বিশেষ ভালোবাসা’র কথা জানলে হয়তো অবাক হবেন।
কেউ আইসক্রিম খেতে ভালোবাসতেন। কেউ আবার নিজেকে এতটা ভালোবাসতেন যে, নিজেই নিজের মূর্তি তৈরি করেছেন। কেউ আবার কোনো এক নারীর প্রেমে ‘পাগল’ ছিলেন। কারও আবার ‘সুইস চিজ’ ভীষণ প্রিয় ছিল। বিশ্বের সেই সব বড় বড় শাসকের সেসব পছন্দ তুলে ধরা হলো আজ— (দ্বিতীয় পর্ব)
চিনের সাবেক শাসক মাও জে দং
লিপিবিদ্যার (ক্যালিগ্রাফি) প্রতি ঝোঁক ছিল চিনের সাবেক শাসক মাও জে দংয়ের। সেই সময় টাইপরাইটাররের বদলে কালি দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নথি লিখতেন তিনি। বলা হয়, মাওয়ের হাতের লেখা নাকি খুবই সুন্দর ছিল।
ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস
সংখ্যাতত্ত্বের প্রতি আকর্ষণ ছিল ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের। সাত নম্বরটি তার প্রিয় ছিল। যে কোনো কাজে সাত নম্বরটিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিতেন তিনি।
তুর্কমেনিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট সাপারমুরাত নিয়াজভ
নিজেকে খুব ভালোবাসতেন তুর্কমেনিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট সাপারমুরাত নিয়াজভ। তাই সোনার পাত দিয়ে নিজের ৫০ ফুট উঁচু মূর্তি বানিয়েছিলেন তিনি। নিজের নামে শহর, থিম পার্ক, থিয়েটারের নামকরণ করছিলেন নিয়াজভ।
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন
আমেরিকার ‘জাঙ্ক ফুড’ খেতে ভালোবাসতেন ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। বিশেষত, আমেরিকার একটি চিপ্স তার অনেক পছন্দ ছিল।
উত্তর কোরিয়ার এক সময়ের শাসক দ্বিতীয় কিম জং উন
হলিউডের ছবি কে না ভালোবাসেন! কিন্তু যে দেশের সঙ্গে ‘শীতল’ সম্পর্ক, সেই দেশের ছবিই কি না পছন্দ করতেন উত্তর কোরিয়ার এক সময়ের শাসক দ্বিতীয় কিম জং উন। শোনা যায়, ৩০ হাজারের মতো ছবি সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক কিম জং উন
এবার বলা যাক উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক কিম জং উনকে নিয়ে। তাকে ঘিরে কৌতূহলের অন্ত নেই আন্তর্জাতিক আঙিনায়। চিজ খেতে ভীষণ ভালোবাসেন কিম। বিশেষ করে সেটা যদি হয় ‘সুইস চিজ’। অনেকে বলেন, কিমের ওজন বৃদ্ধির একটা অন্যতম কারণ হলো এই চিজপ্রেম।
মন্তব্য করুন