ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকার সচেষ্ট আছে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২২ মে) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) সভাকক্ষে বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইসিটি সচিব বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাত আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। বিপিও খাত তরুণ সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন করছে, যেখানে দক্ষতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার অপার সুযোগ রয়েছে। আশা করি এবারের সম্মেলনে আমরা কেবল নতুন প্রযুক্তি ও ধারণার সঙ্গে পরিচিত হবো না বরং দেশের তরুণদের বিপিও খাতে সম্পৃক্ত করতে একটি কার্যকরী কর্মপরিকল্পনার দিকেও এগিয়ে যাব।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন বলেন, আমাদের তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাতের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। বিপিও সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম যেখানে তরুণরা অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং এই শিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাবে।
উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আয়োজনে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল’ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অবভ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে আগামী ২১-২২ জুন রাজধানীর সেনাপ্রাঙ্গণ ভেনুতে বিপিও সামিট বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বরাবরের মত এবারেও চাকুরি মেলার মধ্য দিয়ে বিপিও শিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীদের সিভি সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া যোগ্য প্রার্থীদের জন্য থাকবে নিয়োগেরও ব্যবস্থা। আউটসোর্সিং শিল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা, সম্ভাবনা এবং সফলতার গল্প নিয়ে থাকছে বিভিন্ন সেমিনার। সম্মেলনে ৩০টি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি/বিপিও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও এবং সেবা প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছে। থাকছে, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ৯টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
যেখানে আইটিইএস ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞগণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, যা সম্মেলনকে বিশ্বমানের একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করবে। ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং বিষয়ক কর্মশালাগুলোতে বিপিও শিল্পের সম্ভাবনাময় দিকগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে এ খাতে আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে উৎসাহ যোগানো হবে।
মন্তব্য করুন