

মায়ের বুকের দুধই নবজাতকের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার। জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শুধু মায়ের দুধেই শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। তাই এই সময়ে মায়ের খাওয়া-দাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মা যা খান, তার প্রভাব কিছুটা হলেও শিশুর শরীরেও পড়ে।
আরও পড়ুন : গোপনে শিশুর ক্ষতি করছে যে ৫ খাবার
আরও পড়ুন : দুপুরে না খেলে যা হয়
কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে মায়ের কোনো সমস্যা না হলেও শিশুর জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নিই, ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রক্রিয়াজাত খাবার : স্তন্যপানকালীন সময়ে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া খাবার খাওয়াই ভালো। সসেজ, নাগেটস, ফ্রোজেন ফুড বা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে চিনি, লবণ ও নানা ধরনের রাসায়নিক। এসব উপাদান শুধু মায়ের নয়, শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পরবর্তীতে শিশুর খাওয়ার অভ্যাসেও প্রভাব ফেলে। তাই এ সময়ে টাটকা, ঘরে তৈরি খাবারেই ভরসা রাখুন।
পারদসমৃদ্ধ মাছ : মাছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মা ও শিশুর জন্য দারুণ উপকারী। তবে সব মাছই নয়। কিছু বড় সমুদ্রের মাছ, যেমন টুনা, মার্লিন বা সোর্ডফিশে পারদের মাত্রা বেশি থাকে। এই পারদ মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে ঢুকে তার বিকাশে বাধা দিতে পারে। তাই ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন এসব মাছ খাওয়া এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে নিরাপদ।
কফি : অনেক মা ঘুমের ক্লান্তি দূর করতে কফি পান করেন। কিন্তু কফিতে থাকা ক্যাফিন মায়ের দুধের সঙ্গে শিশুর শরীরে পৌঁছে যায়। এতে শিশুর ঘুমের সমস্যা হতে পারে, এমনকি হজমেও গণ্ডগোল হতে পারে। তাই একেবারে না খেলে ভালো, আর খেলেও দিনে এক কাপের বেশি না খাওয়াই শ্রেয়।
অ্যালকোহল : অ্যালকোহল শরীরের জন্য ক্ষতিকর— এটা সবাই জানেন। কিন্তু ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ অ্যালকোহলের কিছু অংশ মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে চলে যায়, যা তার স্নায়ু ও শারীরিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে একেবারেই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত।
আরও পড়ুন : খালি পেটে ঘি ভালো না খারাপ?
আরও পড়ুন : দিনের শুরু হোক ৫ সহজ ও স্বাস্থ্যকর পানীয় দিয়ে
শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য মায়ের শরীর ও খাদ্যাভ্যাস দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন সময় নিজের খাবার বেছে খান বুঝে-শুনে। প্রাকৃতিক, পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খেলে মা যেমন শক্তি পাবেন, তেমনি শিশুও পাবে সঠিক পুষ্টি ও সুরক্ষা।
সূত্র: ইটিং ওয়েল
মন্তব্য করুন