কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন রোধে পৃথক আইনের দাবি

'যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের খসড়া প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। ছবি : কালবেলা
'যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের খসড়া প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। ছবি : কালবেলা

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন রোধে পৃথক আইনের দাবি জানিয়েছে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে 'যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইনের খসড়া প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা জানান, বর্তমানে দেশে প্রচলিত আইনে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অনেক বিষয় অনুপস্থিত। প্রচলিত আইনে সীমাবদ্ধতার কারণে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অনেক বিষয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া প্রচলিত আইনী বিধি-বিধান প্রতিরোধমূলক নয়, শুধুই শাস্তিমূলক। সবদিক বিবেচনায় যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন রোধে প্রতিরোধমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ পৃথক আইন প্রয়োজন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম। তিনি জানান, বিগত বছরগুলোতে উত্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বখাটেদের উৎপাতে তরুণী ও কন্যাশিশুদের আত্মহননের মতো ঘটনা ঘটছে। সাধারন জনগণ, নারী ও মানবাধিকার সংস্থা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, প্রশাসনসহ সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বখাটেদের উৎপাত থেকে তাদের রক্ষা করা দূরূহ হয়ে পড়ছে। ফলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধ এবং নির্মূলে একটি পৃথক আইনী কাঠামোর প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে।

সভায় জানানো হয়, ২০০৯ সালে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসে। এরপর ২০১০ সালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইনের খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে জমা দেয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও ২০২২ সালে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০২ সাল থেকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইন প্রনয়নের কথা বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। আইনের খসড়াও হয়েছে। তারপরেও আইনটি প্রনয়নে এতো দীর্ঘসূত্রিতা হওয়ার কথা নয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ৷ তিনি বলেন, অনেকেই নারীকে মা, বোন, কন্যা উল্লেখ করে নারীর সম্মান মর্যাদার কথা বলেন। শুধু সম্মান মর্যাদা নয়, নারীর প্রাপ্য অধিকারটুকু দিতে হবে৷ যতদিন পর্যন্ত সমতা প্রতিষ্ঠিত না হয়, ততদিন পর্যন্ত নারীর জন্য পৃথক আইন ও বিধিমালার প্রয়োজন আছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

ঢাকায় কখন হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি, ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ

পাতানো জালে আটকা নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় না : মুশফিকুর রহমান

সিলেটে যানজট মোকাবিলায় এনসিপির ২৭ প্রস্তাবনা

এক মাস পর খুলছে বাকৃবি, সেশনজটের শঙ্কা

মানুষের কাছে জাগপার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে : রাশেদ প্রধান 

১০

গাজীপুরে রাতের আঁধারে সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ

১১

তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর গুঞ্জন

১২

আ. লীগের সহসম্পাদক ব্যারিস্টার হাবিব গ্রেপ্তার

১৩

এক টাকারও অভিযোগ দিতে পারলে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিব : সারজিস

১৪

ঢাকা মহানগর আদালতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১৫

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারীসহ ফার্মাসিস্ট আটক

১৬

৮ দিন পর খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

১৭

চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারকে ডেকে নিয়ে মারধর

১৮

মাউন্ট-সেশকোর গোলে ম্যানইউর স্বস্তির জয়

১৯

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিবু প্রসাদ গ্রেপ্তার

২০
X