ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের ফেলোশিপ-২০২৩ শিশু সুরক্ষায় সাংবাদিকতায় প্রিন্ট মিডিয়ার দৈনিক কালবেলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রীতা ভৌমিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. শারফুল আলম শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক নির্বাচিত হন।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও সেভ দ্য চিলড্রেনের আয়োজনে ‘ফেলোশিপ-২০২৩ : শিশু সুরক্ষায় সাংবাদিকতা’ শীষক অনুষ্ঠানে দুই বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট, সাটিফিকেট ও ৩০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এ ছাড়া প্রধান অতিথি সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া বেবী, দৈনিক আজকের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক অচি হক, চ্যানেল আই-এর বিশেষ প্রতিনিধি জান্নাতুল বাকেয়া কেকা, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সিনিয়র রিপোর্টার মনিরা মুন্নি, একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার কাবেরী মৈত্রেয়, একুশে টেলিভিশন লিমিটেডের স্টাফ রিপোর্টার মিনালা দিবা, ভোরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার মরিয়ম মনি সেঁজুতি, দ্য ডেইলি স্টারের প্রশিক্ষণকালীন রিপোর্টার তাহিরা শামসি উৎস, দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক সাজিদা ইসলাম পারুল, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডাড স্টাফ করেসপন্ডেট মো. জাহিদুল ইসলাম, সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার জাহিদা পারভেজ ছন্দা, মোহনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সুরাইয়া মুন্নী, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার, বিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার দিনার সুলতানা, দৈনিক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল চন্দ্র ভদ্র, চ্যানেল নাইনের সিনিয়র রিপোর্টার সাখাওয়াত সুমন প্রমুখ।
ডেইলি স্টার ভবনের এ এস মাহসুদ সেমিনার হলে সকাল ১১টায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের আয়োজনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড প্রটেকশন, চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড চাইল্ড গভর্নেসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গবেষক সাংবাদিক আফসান চৌধুরী।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিকসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের পরিচালক রোকসানা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলা লেখায় আমার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে রূপান্তর ঘটেছে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল কাগজের পত্রিকায় একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফমের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে রোকসানা সুলতানা বলেন, শিশুদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে শিশু অধিকার বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিশু সুরক্ষায় সংবেদনশীলতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স তাদের সম্মাননা প্রদানের জন্য এই ফেলোশিপ প্রদান করেছে। শিশুদের যৌন নির্যাতন, শোষণ, বাল্যবিয়ে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় জোরালো ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়ে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স শিশু সুরক্ষার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ শিশু অধিকার সনদ অনুসাক্ষর করে। এখনও পর্যন্ত অনেক গণমাধ্যম অনুস্বাক্ষর শব্দ ব্যবহার না করে স্বাক্ষর শব্দ ব্যবহার করেন। স্বাক্ষর-অনুস্বাক্ষরের পার্থক্য অনেক গণমাধ্যমকর্মীরা এখনও পর্যন্ত রপ্ত করতে পারেননি। এখনও গণমাধ্যমে শিশুশ্রম শব্দটি ব্যবহার করছে। যেটি আইননত নিষিদ্ধ। তবে শিশু সুরক্ষা সাংবাদিকতায় বড় পরিবর্তন এসেছে।
মন্তব্য করুন