করোনার পর প্রথমবারের মতো একসাথে হয়েছেন চীন-রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতারা। কোরিয়া যুদ্ধের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ নেতারা একত্র হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ব নেতারা পিয়ংইয়ং পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) কর্মকর্তারা।
কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই সইগু। অন্যদিকে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য লি হংঝং।
করোনার পর উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিশ্বের এ শীর্ষ নেতারা একসাথে হয়েছেন। ফলে পিয়ংইয়ং তাদের সীমান্ত নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে কিনা সেটি অস্পষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন : ভয়ে পিছু হটলেন পুতিন!
উত্তর কোরিয়া ২০২০ সালে করোনার শুরু থেকে তাদের সীমান্ত দিয়ে ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক সব সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়। এমনকি তাদের অর্থনীতি ও রাজনীতির নিকটতম বন্ধু রাশিয়া ও চীন থেকে খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্য আমদানিও বন্ধ করে দেয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সইগুর এ পরিদর্শন উত্তর কোরিয়ার সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করবে এবং দুই দেশের মধ্যকার উন্নয়ন সহযোগিতা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। যেখানে দেখা গেছে, সইগুকে বিমানবন্দরে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়েছে। এ সময় একটি লাল ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘স্বাগতম রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কমরেড সার্গেই সইগু’। অভ্যর্থনার সময় রাশিয়ান ও কোরিয়ান সেনারা একই কাতারে দাঁড়িয়ে স্যালুট জানান।
এ বর্ষপূর্তি এমন সময়ে পালন করা হচ্ছে যখন দুই কোরিয়ার মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে এবং উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সাবমেরিন মহড়া চালাচ্ছে। ২০২২ সালের শুরু থেকে পরমাণু অস্ত্রে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে কিম জং উন এখন পর্যন্ত ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন করছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা বলছে, আমেরিকার কারণেই এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির চেষ্টা রুখে দিয়েছে চীন ও রাশিয়া।
মন্তব্য করুন