প্রেমের টানে স্বামী, সন্তান ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি দেওয়াও যেন তেমন কোনো বড় বিষয় নয়। কিছুদিন আগে সীমা ও শচীনের প্রেমকাহিনি নিয়ে সরগরম ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অঞ্জু। সীমা ও অঞ্জুর মধ্যে তফাৎ একটাই। সীমা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন। আর অঞ্জু প্রেমিকের আকর্ষণে পাড়ি দিয়েছেন পাকিস্তানে।
সোমবার (২৪ জুলাই) ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বামী-সন্তান ফেলে প্রেমিক নসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় গেছেন। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারত পুলিশ।
রাজস্থানের ভিওয়াড়ি জেলার বাসিন্দা অঞ্জু। দুই সন্তানের মা তিনি। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কিছুদিন আগে স্বামীকে জানান তিনি জয়পুরে যাবেন। কিন্তু সে প্রেমের টানে পাড়ি দেন পাকিস্তানের উদ্দেশে।
অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ পুলিশকে বলেছেন, জয়পুরে যাওয়ার অজুহাতে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অঞ্জু। কিন্তু পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে, সে এখন পাকিস্তানে রয়েছে।
অরবিন্দ পুলিশকে বলেন, ‘সে তার বন্ধুর সাথে দেখা করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। আমি কয়েকদিন আগে তার সাথে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছিলাম এবং জানতে পারি, সে লাহোরে আছে।’
তিনি জানান, ২০০৭ সালে তারা বিয়ে করেন এবং তারপর থেকে একসঙ্গে বসবাস করছেন। তারা ভিওয়াদিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন এবং তাদের ১৫ বছরের মেয়ে এবং ছয় বছর বয়সী ছেলেসন্তান রয়েছে।
অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ জানান, ২০২০ সালে তার স্ত্রীর পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। মূলত বিদেশে চাকরির আবেদনের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন অঞ্জু।
এদিকে এনডিটিভির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়- পাকিস্তানের ২৯ বছর বয়সী নাসরুল্লা বলেছেন, পাকিস্তানে অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আগামী ২০ আগস্ট ভারতে ফিরে আসবে। ৩৪ বছর বয়সী অঞ্জুকে বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
মন্তব্য করুন