নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার পুনর্বহালে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোওয়াসকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, নাইজারে ইকোওয়াসের সামরিক হস্তক্ষেপ ‘সংঘাত দীর্ঘায়িত’ করতে পারে। খবর বিবিসি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার পুনর্বহালে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য স্ট্যান্ডবাই সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইকোওয়াস। তাদের এই নির্দেশনার পরই এ বার্তা দিল রাশিয়া। যদিও রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানকে সমর্থন দেয়নি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইকোওয়াসের এই ধরনের হস্তক্ষেপ সাহেল অঞ্চলকে সামগ্রিকভাবে অস্থিতিশীল করবে।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে রাখেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। আটকের পরের দিন বৃহস্পতিবার সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন তারা।
এরপরই দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ করতে থাকেন সাধারণ মানুষ। এমনকি সমাবেশ থেকে প্রেসিডেন্টের দলের প্রধান কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে অভ্যুত্থানের সমর্থকরা। ফলে প্রেসিডেন্ট সমর্থক ও অভ্যুত্থানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত থেকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
তবে তাদের এ অভ্যুত্থানকে ভালোভাবে নেয়নি আফ্রিকা অঞ্চলের ১৫ দেশের জোট ইকোয়াস। ৬ আগস্টের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পুনর্বহালের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল জোটটি। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কড়া বার্তাও দেওয়া হয়। সামরিক অভিযানের আশঙ্কা থেকে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের সহায়তা চেয়েছে নাইজারের জান্তা সরকার।
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পুনর্বহাল গৃহীত পদক্ষেপে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, নাইজারের সেনা অভ্যুত্থাননের ফায়দা তুলছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার। নাইজারে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি রয়েছে।
মন্তব্য করুন