

সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশারে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শহরটি দখলের পর থেকে গণহত্যা, লুটপাট ও যৌন সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সুদানের মিসরস্থ রাষ্ট্রদূত ইমাদেলদিন মুস্তাফা আদাওয়ি কায়রোতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আরএসএফ এল-ফাশারে যুদ্ধাপরাধ করেছে, যা গণহত্যার সমান। তিনি অভিযোগ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) আরএসএফকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। তবে আমিরাত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরএসএফকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জানান, ইউএই আলোচনায় থাকলে সুদান শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে না।
গত সপ্তাহে দেড় বছর অবরোধের পর এল-ফাশার দখল করে আরএসএফ। এটি ছিল উত্তর দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি। সরকারি হিসেবে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। প্রায় ৬২ হাজার মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে। তারা এখন উত্তরাঞ্চলের আল-দাব্বাহ শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
শহর থেকে পালানো এক ব্যক্তি আদম ইয়াহিয়া আলজাজিরাকে বলেন, রাস্তা ভরে ছিল মৃতদেহে। আরএসএফ যাকে দেখছে তাকেই গুলি করছে। পুরুষ, নারী, শিশু কেউ রক্ষা পায়নি।
আরেক নারী রাশা জানান, আরএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে যৌন নির্যাতন করেছে।
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা সোলিদারিতে ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, এল-ফাশারে এখন কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শহরে আটকা পড়া ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিরাপদে সরানো যায়নি।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই সংঘাতে লাখো মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে রয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা
মন্তব্য করুন