কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাপানে জনপ্রিয় হচ্ছে হাসি শেখার স্কুল

জাপানে জনপ্রিয় হচ্ছে হাসি শেখার স্কুল

সম্প্রতি জাপানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাসি শেখার স্কুল। যে কেউ চাইলে হাসির কোর্সে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন ধরনের হাসি শিখতে পারবেন।

হাসির ক্লাসরুমে শিক্ষকের নাম কেইকো কাওয়ানো। তার ক্লাসরুমে ঢুকতেই দেখা গেল, টোকিও আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের মুখের সামনে আয়না ধরে আঙ্গুল দিয়ে তাদের মুখের দুইপাশ প্রসারিত করছে। মূলত কীভাবে হাসতে হয় তারা সেটাই অনুশীলন করছে। রয়টার্সে প্রকাশিত সংবাদ পড়ে এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে, হাসি এমন কোনোকিছু না যেটা মানুষ টাকার বিনিময়ে শিখবে। তবে জাপানে কাওয়ানোর এই হাসি শেখানোর স্কুল ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর আগে মহামারির সময় জাপানের সর্বত্র মাস্ক পরার নিয়ম ছিল।

২০ বছরের তরুণী হিমাওয়ারী ইয়োশিদা স্কুলের অন্যান্য কোর্সের মতই হাসি শেখার কোর্সটি নিয়েছেন। জব মার্কেটে ভালো কিছু করে দেখানোর জন্য তার হাসি নিয়ে আরেকটু কাজ করা দরকার বলে মনে করেন ইয়োশিদা।

তিনি বলেন, আমি কোভিডের সময় আমার মুখের পেশীগুলো খুব একটা ব্যবহার করিনি।

কাওয়ানোর কোম্পানির নাম 'ইগাওইকু' যার আক্ষরিক অর্থই 'হাসি শিক্ষা'। গত এক বছরে এই স্কুলের চাহিদা অন্তত চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসি শিক্ষা নিতে এখানে বিপণন এর সঙ্গে জড়িত মানুষেরা বেশি আসেন। এছাড়াও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারাও তাদের এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যময় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কাওয়ানোর শরণাপন্ন হন।

মহামারির আগে থেকেই জাপানে জ্বরের মৌসুমে বা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়ে মাস্ক পরা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। মার্চে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সরকার নিয়মকানুন শিথিল করার পরেও অনেকেই প্রতিদিনই মাস্ক পরেন। মে মাসে জাপানি গণমাধ্যম এনএইচকে একটি জরিপ চালিয়ে জানায়, মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং ৫৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন তারা দুই মাস আগে যেমন মাস্ক পরতেন এখনো তেমনটাই করে চলেছেন।

হাসি শেখার ক্লাসে আসা এক চতুর্থাংশ স্কুল শিক্ষার্থী পাঠদানের সময় মাস্ক পরে থাকেন। কাওয়ানো বলেন, তরুণরা মাস্ক পরা জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। মাস্ক পরার কারণে অনেক নারীরা মেকাপ ছাড়াই বের হতে পারছে আবার ছেলেরা যারা শেইভ করেনি তারাও বিষয়টি লুকাতে পারছে।

কাওয়ানো আগে একটি রেডিওতে উপস্থাপনায় ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি পাঠদান শুরু করেন। কীভাবে সুন্দর করে হাসতে হয়, এবং কীভাবে জাপানের সবচেয়ে সুন্দর হাসিটি হাসতে হয় তা আরও ২৩ জনকে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন।

তার সবচেয়ে জনপ্রিয় হাসিটি হলিউড স্টাইল স্মাইলিং টেকনিক। মুলত এই হাসিটি "ক্রিসেন্ট আইজ" এবং "রাউন্ড চিকস'' এর সমন্বয়ে গঠিত। সাধারণত শিক্ষার্থীরা তাদের ট্যাবলয়েডে হাসি রেকর্ড করেন এবং এরপর সেটার ওপর তাদের নম্বর দেওয়া হয়।

কাওয়ানোর ধারণা, সাংস্কৃতিকভাবে জাপানিরা পশ্চিমাদের চেয়ে হাসাহাসিতে একটু কম পটু।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির

অসুস্থ নারীকে তালাবদ্ধ করে রাখেন বিআরডিবি কর্মকর্তা

এসএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়ায় পিতৃহীন সুরাইয়াকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

গায়ানায় রাজ সাকিবের, শ্রীলঙ্কায় ভঙ্গুর বাংলাদেশ

শুল্ক আলোচনায় অগ্রগতি / মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

জবির ভূমিদাতা কিশোরী লালের শততম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

শিক্ষকের ওপর হামলা, জবি ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলের পদ স্থগিত

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত গ্রেপ্তার

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধে হাইকোর্টে রিট

মাংসপেশিতে চোট জাকেরের

১০

জবিতে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে ৩ দাবিতে বিক্ষোভ

১১

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদ / দেশে ৩৩০ দিনে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা আড়াই হাজার

১২

বগুড়ায় আ.লীগ নেতার কারাদণ্ড

১৩

ফিরেই ঝলক, সাকিবের ব্যাটে দুর্দান্ত ফিফটি

১৪

রংপুর ইপিজেড বাস্তবায়ন নিয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ

১৫

গায়েবি মামলার আতঙ্কে ২০ গ্রামের মানুষ

১৬

পিআর পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান উদ্বেগজনক : মামুনুল হক

১৭

সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মিলল ফায়ার সার্ভিসের গাভি

১৮

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আ স ম রব

১৯

মহড়া চলাকালে মালয়েশিয়ায় পুলিশের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

২০
X