চীনে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এই বছরের এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঝড় চীনের হাইনান প্রদেশের উপকূলে ল্যান্ডফল করেছে। এতে অন্তত দুজনের প্রাণহানি এবং ৯২ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় হাইনান দ্বীপের উত্তর-পূর্বে ২৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে আছড়ে পড়ে টাইফুন ইয়াগি। খবর সিনহুয়ার।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ‘শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি ভারি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসসহ হাইনানে আঘাত হেনেছে। তীব্র ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে এবং এর জন্য প্রায় চার লাখ ৬০ হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ইয়াগির ফলে হাইনানে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া আক্রান্ত হবে পার্শ্ববর্তী গুয়াংডংও। এই এলাকাটি চীনের অন্যতম জনবহুল অঞ্চল।
স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতের ফলে হাইনান দ্বীপ পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ৮ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ হাজার উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ফিলিপাইনে ইয়াগির আঘাতে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারায়। এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণ চীনে আঘাত হানার পর এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ইয়াগি ইউনেস্কো ঘোষিত ভিয়েতনামের ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত স্থান হ্যালং বে’র আশপাশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সতর্ক কেন্দ্রের উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার বলেন, সুপার টাইফুন ইয়াগি ভয়াবহ আকারের একটি ঘূর্ণিঝড়। এর আঘাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস হতে পারে। একটি সুপার টাইফুন শক্তির দিক দিয়ে ৫ ক্যাটাগরির হ্যারিকেনের সমতুল্য।
হাইনান দ্বীপে আঘাত হানা টাইফুন ইয়াগি ২০১৪ সাল আঘাত হানা টাইফুন ‘রাম্মাসুনের’ চেয়ে অনেক শক্তিশালী। ওই সময়ে এই ঝড়ের আঘাতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন