পারস্য উপসাগরের তিন দ্বীপে নৌ মহড়া চালিয়েছে ইরান। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এ মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছে। গত বুধবার (২ আগস্ট) থেকে বুমসা, তুম্বে বুজুর্গ ও তুম্বে কুচাকে নামের তিনটি দ্বীপে এ মহড়া চালানো হয়। খবর পার্সটুডে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এ মহড়ায় সার্বিক সহায়তা দেয় মহাকাশ বিভাগ। এ মহড়া থেকে সামরিক, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বার্তা এবং নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়েছে ইরান।
সামরিক
পারস্য উপসাগরে চালানো এ মহড়ায় ইরান তাদের সামরিক শক্তির জানান দিয়েছে। মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম দ্রুতিগতির নৌযান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সামুদ্রিক ড্রোন, উভচর বিমান ও উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় মূল ভূখণ্ড থেকে সেনাদের দ্রুততম সময়ে দ্বীপগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপকূল থেকে মাত্র ১৫ মিনিটে সেনারা বিমান ও হেলিকপ্টারযোগে বুমুসা দ্বীপে পৌঁছেছেন।
ভৌগোলিক
ইরানের এ তিনটি দ্বীপ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বিরোধ রয়েছে। দ্বীপগুলো ইরানের দখলে থাকলেও মালিকানা দাবি করে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এমনকি সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আমিরাতের এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে রাশিয়া। ফলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেহরানে নিয়োজিত রুশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : কাকে ঠেকাতে এত বড় বিমান মহড়া করল ইরান?
রাশিয়ার আগে একই ধরনের একটি বিবৃতিতে সই করেছিল চীন। তখন ইরান চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায়।
দ্বীপগুলো নিয়ে এমন বিরোধপূর্ণ অবস্থানের মধ্যে ইরানের নৌ মহড়া ভৌগোলিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ মহড়ার মাধ্যমে দ্বীপগুলোতে নিজেদের দখলদারির জানান দিয়েছে ইরান। মহড়ায় ইরান জানিয়েছে, নিজেদের ভূখণ্ডের ব্যাপারে কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া দ্বীপ রক্ষায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
রাজনৈতিক
সম্প্রতি পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। পেন্টাগন জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরে নৌবাহিনীর পাশাপাশি এফ-থার্টি ফাইভ ও এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। ইরানকে মোকাবিলা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন।
দ্বীপগুলোতে এ মহড়া চালানোর মাধ্যমে আমেরিকাকে মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুতির জানান দিয়েছে ইরান। এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, আমেরিকাকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ইরান।
মন্তব্য করুন